সারি সারি বিছানায় অসুস্থ মানুষ। অধিকাংশই শিশু। রক্ত নিতে আসা এসব রোগীর সঙ্গে স্বজনেরাও উপস্থিত। এমনই এক মায়ের সঙ্গে আলাপ হলো। তিনি কলেজের শিক্ষক। সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য খুলনা থেকে ঢাকায় আসতে হয় তাঁকে। তাই এই প্রতিষ্ঠানেরই এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক তাঁকে বলছিলেন, এখন খুলনায়ও আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি চালু হয়েছে। তিনি চাইলে সেখানেও সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারেন। তবে সেই মায়ের বক্তব্য, যে সেবা এই প্রতিষ্ঠানে তিনি পাচ্ছেন, যতটা নিরাপদে তাঁর সন্তানকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে এখানে, তা অন্য কোথাও সম্ভব নয়। তাই কষ্ট হলেও সন্তানের সেরা চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখানেই আসবেন তিনি।

সারি সারি বিছানায় অসুস্থ মানুষ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় হামলার পরদিন রোববার রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে তেলের ফিউচার দাম বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৪৭ ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫৯ ডলার।

তবে শেয়ারবাজারে সার্বিকভাবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। ডাও ফিউচারস সূচক ২৫০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারস এবং নাসডাক ফিউচারস— উভয় সূচকই প্রায় শূন্য দশমিক ৬ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

এদিকে বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতার মধ্যেই মার্কিন ডলারের মান বেড়েছে প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। বৈশ্বিক সংকট ও অনিশ্চয়তার সময়ে ডলারের মান সাধারণভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে এই প্রবণতা এবার কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে নতুন মাত্রা ও মার্কিন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বাজারে উদ্বেগ বাড়ছে, যার প্রভাব সরাসরি জ্বালানি ও বিনিয়োগ খাতে পড়ছে।

রোববার বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।

এই প্রণালি বন্ধ থাকলে বিশ্ববাজারে তার বড় প্রভাব পড়বে। বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালি দিয়েই পরিবহন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ