জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ (কিরণ) ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ সদস্য থাকাকালে মামুনুর রশীদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৪৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। পাশাপাশি তাঁর নামে ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ২২টি ব্যাংক হিসাবে ২১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, মামুনুর রশীদের স্ত্রী জেসমিন আক্তার স্বামীর প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ ঘটনায় তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাখাইনে পাচারকালে ফের বিপুল পরিমাণ সার জব্দ, আটক ১১ 

রাখাইন রাজ্যে অবৈধভাবে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ১১ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার সকালে সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা বলেন, বুধবার মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপ হতে ৪ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে একটি ইঞ্জিনচালিত সন্দেহজনক কাঠের বোট দেখতে পায় কোস্টগার্ড। বঙ্গোপসাগরে ৫৮ দিনের মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় উক্ত এলাকায় বোটটি সন্দেহজনক হওয়ায় কোস্টগার্ড জাহাজ বিসিজিএস মনসুর আলী কর্তৃক বোটটিকে থামার সংকেত প্রদান করে। বোটটি সংকেত অমান্য করে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে জাহাজ কর্তৃক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া করে বোটটিকে আটক করা হয়। বোটটিতে তল্লাশি করে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারকালে ৭৪২ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়। এ সময় ১১ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। পাচারকারীরা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং চট্টগ্রামের বাসিন্দা। পরবর্তীতে জব্দকৃত সার টেকনাফ কাস্টমস এ এবং আটককৃত পাচারকারী ও পাচার কাজে ব্যবহৃত বোটটি টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মিডিয়া কর্মকর্তা আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্টগার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদীতীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও চোরাচালানরোধ অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। চোরাচালান রোধকল্পে কোস্টগার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গত ২ মে মিয়ানমারে পাচারকারে ৬৬ বস্তা সার জব্দ করে কোস্টগার্ড। এসময় ১০ পাচারকারীকে আট করেছিলেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাখাইনে পাচারকালে ফের বিপুল পরিমাণ সার জব্দ, আটক ১১