আ.লীগকে নিষিদ্ধ করে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে
Published: 10th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। শুক্রবার বগুড়ায় এক গণসমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।
ইসলামবিরোধী নারী নীতি বাতিল, শাপলা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, দুর্নীতিবাজদের বিচার এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বগুড়া জেলা শাখা এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্টসহ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের অপরাধের ব্যাপকতা ও মাত্রা এত বেশি যে আওয়ামী লীগকে আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না। এটা বরং ভয়ংকর অপরাধীদের একটি চক্র। তাই এদের রাজনীতি করতে দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এদের রাজনীতি করতে দেওয়ার মানে একটি ভয়ংকর অপরাধী চক্রকে আবারও নির্মমতা চালানোর সুযোগ করে দেওয়া।’
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই জরুরি। তবে মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থবহ কোনো কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে না।
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব কোরআন-হাদিস ও এ দেশের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এই কমিশন বাতিল করতেই হবে।
মুফতি রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডরের প্রস্তাব আমাদের সন্দিহান করে তুলেছে। কারণ, জাতিসংঘ ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ দফা দাবিতে বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন
দ্রুত জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ ও আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন বরিশাল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
আজ রোববার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পাঁচ দফা দাবি হলো আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ, জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, গণহত্যায় জড়িতদের দৃশ্যমান বিচার, আওয়ামী লীগের দোসরদের আইনের আওতায় আনা এবং সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার। তাঁদের অভিযোগ জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার কাঙ্ক্ষিত জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে পারেনি। এ ছাড়া অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানের পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে আমরা আর কোনো টালবাহানা সহ্য করব না। অবশ্যই আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে। গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃশ্যমান কোনো বিচার ও আওয়ামী লীগের দোসরদের এখনো আইনের আওতায় আনা যায়নি। এটা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী হাসিবুর রহমান ও মুখপাত্র সুমী হক। এ সময় তাঁরা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।