ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং ঋণ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বাড়াতে সম্প্রতি নতুন এই নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের পরিচালকদের ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের হিসাব প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে বলেও নীতিমালায় বলা হয়েছে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংক পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ওই ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। তবে, এক কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। ব্যাংক পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বেনামি ঋণও এই নীতিমালার আওতায় আসবে।

টিয়ার-১ মূলধনের সীমা নির্ধারণ:
কোনো ব্যাংক একক বা সম্মিলিতভাবে তার টিয়ার-১ মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি ঋণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দিতে পারবে না। এই সীমা লঙ্ঘন হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংকের পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে এবং একটি সংশোধনমূলক কর্মপরিকল্পনা দাখিল করতে হবে। যদি ঋণ নির্ধারিত সীমা অতিরিক্ত করে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। পরিচালকদের ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণ অথবা এক কোটি টাকার বেশি ঋণের সুবিধা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি বাধ্যতামূলক। 

আরো পড়ুন:

১১০৪ কোটি ৪১ লাখে দুই কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার

আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর বাংলাদেশ এখন নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা

ঋণের আবেদনপত্রের সঙ্গে সিআইবি রিপোর্ট, পর্ষদের অনুমোদন পত্র জমা দিতে হবে। এসব আবেদনপত্র জমা দিতে হবে বিদ্যমান ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে সাত কার্যদিবস আগে।

এমডি ও সিইওর জন্য বিশেষ বিধি নিষেধ:
ব্যাংকগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোনো ধরনের জামানতবিহীন ঋণ বা অগ্রিম দিতে পারবে না। ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইওদের জন্য কর্মচারী ঋণ প্রকল্পের আওতায় কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না। এমডি , সিইও বা তাদের সহযোগীদের কোনো প্রকার সুদ বা মুনাফা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া মওকুফ করা যাবে না। সিইওদের জন্য সাধারণ গ্রাহকের শর্তে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা যেতে পারে, তবে তা সাত কার্যদিবস আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন জারি করা নীতিমালার ফলে পরিচালকদের বেনামি ঋণ বা সুবিধাভোগী ঋণ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হবে। যা ব্যাংকিং খাতে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করবে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন এবং ঋণ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে সহায়ক হবে। যা সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে।

ঢাকা/এনএফ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

৫০তম বিসিএসে আবেদন শুরু, পিএসসির যত নির্দেশনা

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর ২০২০৫) শুরু হয়েছে ৫০তম বিসিএসের আবেদনপ্রক্রিয়া। বিসিএসের আবেদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনাসমূহ উল্লেখ করে পিএসসি।

৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে গত ২৭ নভেম্বর ২০২৫–এ। পিএসসি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫০তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৫। নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩৯৫। এই বিসিএস থেকে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার মিলে মোট ২ হাজার ১৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

আবেদন শুরু: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা;

আবেদন শেষ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বেলা ১১টা ৫৯ মিনিট।

বয়সসীমা

১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ২১ হতে ৩২ বছর।

আরও পড়ুন৫০তম বিসিএসে প্রিলির নম্বরে এল পরিবর্তন, কমেছে ৩ বিষয়ে, বৃদ্ধি ৩টির০১ ডিসেম্বর ২০২৫আবেদনের নিয়ম

http://bpsc.teletalk.com অথবা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট –এর মাধ্যমে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত অনলাইন আবেদনপত্র (BPSC Form-1) পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম এবং ফি জমাদান সম্পন্ন করতে হবে।

আবেদন ফি

২০০ টাকা।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/প্রতিবন্ধী/তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা।

* আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফি প্রদান করতে হবে।

আরও পড়ুন৬টি ভাষার প্রশিক্ষক নেবে সরকার, ঘণ্টাপ্রতি বেতন ৮০০ টাকা, পদ ১২৪০২ ডিসেম্বর ২০২৫প্রবেশপত্র সংক্রান্ত নির্দেশনা—

৫০তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৫–এর আবেদনপত্র (BPSC Form-1) অনলাইনে পূরণ, এসএমএসের মাধ্যমে ‘ফি’ জমাদান এবং Admit Card প্রাপ্তিসংক্রান্ত নির্দেশনা

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে মাধ্যমে আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন আবেদনের সময় প্রার্থীকে নিম্নোক্ত তথ্যাদি/কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে বসতে হবে—

* এসএসসি/সমমান পরীক্ষার রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড, রেজাল্ট, গ্রুপ, পাসের সন;

* এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড, রেজাল্ট, গ্রুপ, পাসের সন;

* স্নাতক/সমমান পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের নাম, রোল, সেশন, রেজাল্ট, বিষয়, পাসের সন;

* স্নাতকোত্তর/সমমান পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের নাম, রোল, সেশন, রেজাল্ট, বিষয়, পাসের সন;

* এনআইডি (NID), জন্মসনদ, পাসপোর্ট নম্বর;

অনধিক তিন মাস পূর্বে তোলা সর্বোচ্চ ৩০০x৩০০ (দৈর্ঘ্য x প্রস্থ) Pixel এবং 100 KB সাইজের রঙিন ছবি (Photo);

* সর্বোচ্চ ৩০০x৮০ (দৈর্ঘ্য x প্রস্থ) Pixel এবং 60 KB সাইজের Signature;

* উচ্চতা (সেমি), ওজন (কেজি) এবং বুকের মাপ (সেমি) এবং

* ৫০তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৫–এর বিজ্ঞপ্তির কপি।

আরও পড়ুনসরকারি আবাসন পরিদপ্তরে নিয়োগ, পদ ৮১০৪ ডিসেম্বর ২০২৫আবেদনে নির্দেশনা ও শর্তগুলো—

১. ফি প্রদানের আগে পর্যন্ত আবেদনপত্র সংশোধন করা যাবে;

২. নতুন পদসৃষ্টি, পদবিলুপ্তি, পদোন্নতি, অবসর গ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগ অথবা অপসারণ ইত্যাদি কারণে বিজ্ঞাপিত শূন্য পদের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে

৩. যদি কোনো প্রার্থী এমন কোন পরীক্ষায় অবতীর্ণ অংশগ্রহণ করেন যে পরীক্ষায় পাস করলে তিনি ৫০তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করবেন এবং যদি তার ওই পরীক্ষার ফলাফল ৫০তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রকাশ না হয় তাহলেও তিনি ‘অবতীর্ণ প্রার্থী’ হিসেবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে।

৪. সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে কোন প্রার্থী কোন বিদেশি নাগরিককে বিবাহ করলে বা বিবাহ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে তিনি আবেদনের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

৫. চাকরি হতে অপসারিত হয়েছেন অথবা চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন এমন প্রার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে এ সব ক্ষেত্রে প্রার্থীকে BPSC Form-1 এর সঙ্গে চাকরি হতে অপসারণ আদেশের বা ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে মর্মে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের আদেশের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে

৬. প্রিলিমিনারি টেস্টের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণ বা পুনঃ পরীক্ষণের সুযোগ থাকবে না।

আরও পড়ুনবার্ষিক পরীক্ষার সময় স্কুলে ‘শাটডাউন’: আলোচনা করে সমাধান না করলে ক্ষতি বাড়বে২১ ঘণ্টা আগেপ্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য নির্দেশনা—

প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে যাদের শ্রুতিলেখক প্রয়োজন তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন হতে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রুতিলেখক প্রদান করা হবে। যে সব প্রতিবন্ধী প্রার্থীর শ্রুতিলেখক প্রয়োজন হবে তাদের ৮ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখের মধ্যে কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বরাবর শ্রুতিলেখকের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ডাক্তারি প্রত্যয়নপত্র, ছবি এবং প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রের কপিসহ শ্রুতিলেখক প্রাপ্তির দরখাস্ত করতে হবে।

আবেদন এবং নির্দেশনাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেখতে ভিজিট করুন এই লিংকে

আরও পড়ুনচাকরির প্রস্তুতি: কপ৩০ সম্মেলন–বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান২২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে নিয়োগের সুযোগ
  • ৫০তম বিসিএসে আবেদন শুরু, পিএসসির যত নির্দেশনা