দিনাজপুরের হিলিতে আরনু জুটমিল আকস্মিকভাবে বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে সেখানে কর্মরত শ্রমিকেরা বিপাকে পড়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, সাময়িকভাবে মিল বন্ধ রাখা হয়েছে।

হিলি পৌরসভার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় অবস্থিত আরনু জুটমিল। মিলটিতে ৪৫০ থেকে ৫০০ নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) জুটমিলে শ্রমিকরা কাজ শেষে চলে যান। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির পর আজ শনিবার (১০ মে) সকালে শ্রমিকেরা মিলে কাজ করতে আসলে গেট বন্ধ পান। গেটে নোটিশ লাগানো আছে। যেখানে লেখা রয়েছে, শনিবার (১০ মে) থেকে আরনু জুটমিল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এমন নোটিশ দেখে মিলের শ্রমিকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। 

আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর পবিত্র ঈদুল আজহা। এমন সময় মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা হতাশা প্রকাশ করেন। কয়েকজন পুরুষ শ্রমিক জানান, কেন বন্ধ করলো তারা তা জানেন না। মিল বন্ধ থাকলে শ্রমিকেরা চলবেন কীভাবে? এখানকার উপার্জন দিয়ে তাদের সংসার চলে। মিল বন্ধ থাকলে বউ-বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।

আরো পড়ুন:

‘শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর’

সামাজিক-অর্থনেতিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান নীতিতে জোর

তারা আরো বলেন, ‘‘মিল মালিকরা পারিবারিক দ্বন্দ্বে জড়ান, আর খেসারত দিতে হয় আমাদের মতো অসহায়, হতদরিদ্র শ্রমিকদের। আমরা কাজ চাই, পরিবার নিয়ে বাঁচতে চাই।’’

কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, ‘‘আমরা নারীরা সংসার চালাতে এখানে কাজ করি। কিন্তু মাঝেমধ্যে মিল বন্ধ রাখে। আমরা কাজ না করলে সংসার চালাব কী করে? আর এনজিওর কিস্তি দেবো কীভাবে?’’

শ্রমিক সরদার রহমত আলী বলেন, ‘‘এই আরনু জুটমিলে প্রায় ৫০০ জনের মতো নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন। আজ থেকে মালিক মিল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। মিল বন্ধ হলে শ্রমিকেরা খাবে কী, আর চলবে কী করে? আমি চাই, মিল বন্ধ না করে দ্রুত চালু করুক।’’ 

আরনু জুটমিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘‘জুট মিলটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে চালু করা হবে।’’

এ বিষয়ে আরনু জুটমিলের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম আজাদ বলেন, ‘‘মিল থেকে চার গাড়ি মালামাল চুরি হয়ে গেছে। মিলটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে বিষয়টি দেখা হবে।’’

ঢাকা/মোসলেম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল বন ধ বন ধ র খ ক জ কর জ টম ল

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি

জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৩ কোটি টাকা পাবেন নিগাররা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ