বিশ্বের প্রথম ‘ড্রোন যুদ্ধ’: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে নতুন অধ্যায়ের উন্মোচন
Published: 11th, May 2025 GMT
পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিশ্বের প্রথম ড্রোন যুদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ায় শুরু হয়েছে।
ভারত গত বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছে যে পাকিস্তান তার ভূখণ্ড এবং ভারত-শাসিত কাশ্মীরের তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে উপর্যুপরি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে। তবে দ্রুতই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
ইতিমধ্যে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা গত কয়েক ঘণ্টায় ২৫টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। দিল্লি এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পাল্টাপাল্টি হামলা দুই দেশের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বে এক বিপজ্জনক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে উভয় পক্ষ শুধু গোলাবারুদ নয়, ড্রোনের মতো মানবহীন অস্ত্রও ব্যবহার করছে তাদের অস্থির সীমান্তে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিশ্বশক্তি যখন সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছে, তখন দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চল এক ভয়ানক উত্তেজনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে—যেখানে নীরব, দূরনিয়ন্ত্রিত ও অস্বীকারযোগ্য অস্ত্র হিসেবে ড্রোন ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে নতুন অধ্যায় উন্মোচন করছে।
আরও পড়ুন‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’ অর্থ কী, নামটা এল কোথা থেকে১৯ ঘণ্টা আগে‘ভারত-পাকিস্তান সংঘাত এমন এক ড্রোন যুগে প্রবেশ করছে—যেখানে এ ‘অদৃশ্য চোখ’ ও মনুষ্যবিহীন নির্ভুলতা উত্তেজনা বাড়াতে বা কমাতে পারে। তাই, দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশ ড্রোন প্রযুক্তি ও কৌশলে এগিয়ে থাকবে, এ অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আকাশে তারাই আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। কারণ, ড্রোন শুধু দেখতে নয়, আক্রমণ করতে ও যুদ্ধের মোড় পাল্টে দিতে সক্ষম’, বিবিসিকে বলেন মার্কিন ‘নেভাল ওয়ার কলেজ’ এর অধ্যাপক জাহারা ম্যাটিসেক।
পাকিস্তানের দাবি, গত বুধবার সকাল থেকে ভারতীয় বিমান হামলা ও সীমান্তে গোলাগুলিতে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৩৬ জন নিহত এবং আরও ৫৭ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে অন্তত ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ভারত বলছে, তাদের ওই হামলা ছিল গত মাসে তার নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলারই প্রতিশোধ। তবে পেহেলগাম হামলার সঙ্গে পাকিস্তান কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশ ড্রোন প্রযুক্তি ও কৌশলে এগিয়ে থাকবে, এ অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আকাশে তারাই আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। কারণ, ড্রোন শুধু দেখতে নয়, আক্রমণ করতে ও যুদ্ধের মোড় পাল্টে দিতে সক্ষম।জাহারা ম্যাটিসেক, যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল ওয়ার কলেজের অধ্যাপকপাকিস্তানের সেনাবাহিনী গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে, তারা করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিসহ বিভিন্ন শহরে ২৫টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এগুলো ছিল ইসরায়েলের তৈরি হারপ ড্রোন। প্রযুক্তি ও অস্ত্র ব্যবহার করে এগুলো প্রতিহত করা হয়েছে। ভারতও দাবি করেছে, পাকিস্তানের একাধিক আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করেছে তারা, যার মধ্যে লাহোরে একটি রাডারও রয়েছে। তবে ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের গোলায় জম্মুতে সরকারি কর্মকর্তাসহ ৫ জন নিহত: ভারত১৯ ঘণ্টা আগেআধুনিককালের যুদ্ধে লেজার-নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা, ড্রোন এবং মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) খুব গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে। কারণ, এগুলো সামরিক অভিযানের নির্ভুলতা ও কার্যকরিতা উল্লেখ করার মতো বাড়িয়েছে। ড্রোনগুলো বিমান হামলার জন্য শত্রুর অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। আর কিছু ড্রোন এমনভাবে তৈরি যে এরা নিজেরা নিশানা ঠিক করে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে হামলায় সাহায্য করতে পারে।
‘একালের যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করা হয় শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল বা বিভ্রান্ত করতে। এরা শত্রুপক্ষের আকাশে ঢুকে সেখানকার রাডার সক্রিয় করে, যাতে সেই রাডারকে ড্রোন বা রাডার বিধ্বংসী বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা যায়। ইউক্রেন ও রাশিয়া তাদের যুদ্ধে ঠিক এ কৌশলই ব্যবহার করছে। ড্রোন একদিকে হামলার লক্ষ্যস্থল নির্ধারণ ও অন্যদিকে শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে—এ দুই কাজের জন্যই ড্রোন এখন অনেক শক্তিশালী। কারণ, এতে পাইলটের দরকার হয় না ও ঝুঁকিও কম থাকে’, বলেন অধ্যাপক ম্যাটিসেক।
ড্রোন সক্ষমতা কার কতটা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ড্রোন বহরের মূলভিত্তি, ইসরায়েলের নির্মিত নজরদারি ইউএভি; যেমন আইএআই সার্চার ও হিরন। পাশাপাশি আছে হারপি ও হারপ লোটারিং মিউনিশন। এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নজরদারি করতে ও নির্ভুল হামলা চালাতে সক্ষম। হারপ ড্রোন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হিরন ভারতের ‘উঁচু থেকে নজরদারি চালানোর চোখ’, যা শান্তি ও যুদ্ধকালীন— উভয় অবস্থায় কার্যকর। আইএআই সার্চার এমকে টু হলো ফ্রন্টলাইন অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা একটি ড্রোন; যা ১৮ ঘণ্টা উড়তে পারে, ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে ও ৭ হাজার মিটার (২৩ হাজার ফুট) পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পাল্টাপাল্টি হামলা দুই দেশের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বে এক বিপজ্জনক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে উভয় পক্ষ শুধু গোলাবারুদ নয়, ড্রোনের মতো মানবহীন অস্ত্রও ব্যবহার করছে তাদের অস্থির সীমান্তে।যদিও অনেকে মনে করেন, ভারতের ড্রোনসংখ্যা এখনো সীমিত। কিন্তু সম্প্রতি ৪০০ কোটি ডলারের এক চুক্তির মাধ্যমে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩১টি এমকিউ–৯বি প্রিডেটর ড্রোন কিনছে। এগুলো ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে ও ৪০ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে; যা ভারতের আঘাত হানার সক্ষমতায় এক বিরাট পরিবর্তন আনছে।
এদিকে, পাকিস্তানের ড্রোন বহর ‘বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময়’, লাহোরভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ইজাজ হায়দার বললেন বিবিসিকে।
আরও পড়ুনভারতের সুপারসনিক ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুতাগারে হামলার দাবি পাকিস্তানের২০ ঘণ্টা আগেইজাজ বলেন, পাকিস্তানের ভান্ডারে রয়েছে ‘হাজারেরও বেশি ড্রোন’, যার মধ্যে রয়েছে চীন, তুরস্ক ও ঘরোয়া উৎপাদিত মডেল। উল্লেখযোগ্য ড্রোনের মধ্যে রয়েছে চীনা সিএইচ–৪, তুর্কি বেরাকতার আকুনজি ও পাকিস্তানের নিজস্ব বোরাক ও শাহপার ড্রোন। এ ছাড়া পাকিস্তান লোটারিং অস্ত্রও তৈরি করেছে, যা তাদের আঘাত হানার সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, পাকিস্তানের বিমান বাহিনী প্রায় এক দশক ধরে তাদের কার্যক্রমে মনুষ্যবিহীন ড্রোনের সমন্বয় ঘটাচ্ছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, ‘লয়াল উইংম্যান’ ড্রোন তৈরি করা, যা মানবচালিত যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারে।
অধ্যাপক ম্যাটিসেকের মতে, ভারতের জন্য ইসরায়েলের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং হারপ ও হিরন ড্রোন সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আর পাকিস্তানের তুর্কি ও চীনা প্ল্যাটফর্মে নির্ভরশীলতা তার অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে নির্দেশ করছে।
পাকিস্তানের ভান্ডারে আছে হাজারেরও বেশি ড্রোন, যার মধ্যে রয়েছে চীন, তুরস্ক ও ঘরোয়া উৎপাদিত মডেল। উল্লেখযোগ্য ড্রোনের মধ্যে রয়েছে চীনা সিএইচ-৪, তুর্কি বেরাকতার আকুনজি ও পাকিস্তানের নিজস্ব বোরাক ও শাহপার ড্রোন। এ ছাড়া দেশটি লোটারিং অস্ত্রও তৈরি করেছে, যা তাদের আঘাত হানার সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।ইজাজ হায়দার, লাহোরভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাতে ড্রোনের ব্যবহার বর্তমান উত্তেজনা বাড়িয়েছে ঠিকই, তবে এটা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো নয়। সেখানে হাজার হাজার ড্রোন ব্যবহার হয় নজরদারি, লক্ষ্য ঠিক করা ও সরাসরি আক্রমণের জন্য। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ড্রোন যুদ্ধ এখনো এত বড় বা বিস্তৃত পর্যায়ে পৌঁছায়নি—এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক মনোজ জোশি বিবিসিকে বলেন, ‘ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে যুদ্ধবিমান বা ভারী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার না করে একটি অপেক্ষাকৃত নিম্ন-স্তরের সামরিক বিকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ড্রোনের অস্ত্রসজ্জা যুদ্ধবিমানের তুলনায় কম। তাই এক অর্থে এটি একটি সংযত পদক্ষেপ। তবে এটি যদি বড় আকারের বিমান অভিযানের সূচনা হয়, তবে পুরো হিসাবই বদলে যাবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ড্রোন বহরের মূলভিত্তি, ইসরায়েলের নির্মিত নজরদারি ইউএভি; যেমন আইএআই সার্চার ও হিরন। পাশাপাশি আছে হারপি ও হারপ লোটারিং মিউনিশন। এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নজরদারি করতে ও নির্ভুল হামলা চালাতে সক্ষম। হারপ ড্রোন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম।অন্যদিকে ইজাজ হায়দার মনে করেন, জম্মুতে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা ‘তাৎক্ষণিক উত্তেজনার প্রতিক্রিয়া, যা (পাকিস্তানের) পূর্ণাঙ্গ প্রতিশোধ নয়।’
‘আমরা যে ড্রোন যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করছি, তা হয়তো দীর্ঘস্থায়ী হবে না; এটি শুধু বৃহত্তর সংঘাতের সূচনা হতে পারে’, বলেন মনোজ জোশি। তিনি আরও বলেন, ‘এটি হয় সংঘাত প্রশমনের ইঙ্গিত, না হয় উত্তেজনার বিস্ফোরণ। দুই পথই এখন উন্মুক্ত। আমরা এমন এক মোড়ে দাঁড়িয়ে যে; কোন পথে এগোব, তা অনিশ্চিত।’
আরও পড়ুন‘অপারেশন সিঁদুরের’ জবাবে পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’ শুরু২০ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর দ বন দ ব নজরদ র লক ষ য র জন য ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়া সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সাথে সীমান্ত পথে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৭ ব্যাটলিয়ন এ সীমান্তে নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।
বিজিবি ৪৭ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকেই কুষ্টিয়া সীমান্তে অধিকতর সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাদক পাচাররোধ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে আছি। পাশাপাশি আমাদের মূল দায়িত্ব সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করা। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমরা কোন ছাড় দিচ্ছি না।”
তিনি আরো বলেন, “বিএসএফ এর সাথে আমাদের পেশাগত ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সীমান্তে প্রতিপক্ষের কোন তৎপরতা নেই।”
তিনি বলেন, “উল্লেখিত সামরিক উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে বিধি মোতাবেক বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সীমান্তে নজরদারী, টহল ও জনবল প্রয়োজন অনুসারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
এদিকে সীমান্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজিবির বাড়তি টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করায় সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে রয়েছেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু