নতুন যাত্রায় নামছে পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেট। অনিয়ম, অভিজ্ঞতা আর ব্যর্থতার দোলাচলে দিশেহারা হয়ে এবার সামনে এগিয়ে যেতে চাইছে তারা। আর সেই পথের সঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের অভিজ্ঞ কোচ মাইক হেসনকে। চলতি মাসের ২৬ তারিখ থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচিং অধ্যায়। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সিরিজ দিয়েই শুরু হবে তার এই নতুন মিশন।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি এই নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের লক্ষ্য সামনে রেখে তারা এমন একজনকে চেয়েছেন যিনি অভিজ্ঞ এবং সফল। হেসন সেই মানদণ্ডে পুরোপুরি উত্তীর্ণ। শুধু জাতীয় দলই নয়, ভবিষ্যৎ প্রতিভা তৈরির দায়িত্বও নতুন করে সাজাচ্ছে বোর্ড। হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক সময়ের গতি দানব আকিব জাভেদকে।

দুজনকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বহু প্রার্থী থেকে। দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনাসহ বাংলাদেশি চার টিভি চ্যানেল

মাইক হেসনের কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। নিউ জিল্যান্ডের ডাগআউটে থেকেই তিনি দলকে পৌঁছে দিয়েছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে। এছাড়া, কেনিয়া জাতীয় দল ও পিএসএলের ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের সাথেও কাজ করেছেন তিনি।

এবার তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বিশ্বমঞ্চে আবারও পাকিস্তানকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা। বিশেষ করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। অন্যদিকে, আকিব জাভেদ হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে তরুণদের তৈরি করবেন আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের জন্য।

সব মিলিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে যেন শুরু হতে যাচ্ছে এক নতুন অধ্যায়—যেখানে প্রত্যাশা, পরিকল্পনা আর অভিজ্ঞতার ছোঁয়ায় বদলে যেতে পারে তাদের সাদা বলের ভবিষ্যৎ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা

টানা খেলার ধকল কাটাতে জাতীয় দল এখন বিশ্রামে। ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের অনুশীলন হচ্ছে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। তবে দুই দল মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন ক্রিকেটারের অনুশীলনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়া। বৃষ্টির কারণে অনুশীলন করতে না পারায় ক্রিকেটারদের মধ্যেও হতাশা কাজ করছে।

১০ জুন প্রধান কোচ ডেভিড হেম্পের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে ক্যাম্প শুরু করে এইচপি। চট্টগ্রাম থেকে একটি সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৭ দিনে সব মিলিয়ে মাত্র ১১ থেকে ১২ দিন মূল মাঠে অনুশীলন করা গেছে। অন্য সময় ভাগে ভাগে স্কিল অনুশীলন ও ফিটনেস নিয়ে কাজ হয়েছে ইনডোরে। তবে ইনডোরে টার্ফ বসানোর কাজ চলায় সেখানেও বিরতি দিতে হয়েছে।

আরও পড়ুনবিসিবির আমন্ত্রণে মাহমুদউল্লাহর ‘না’২৪ জুলাই ২০২৫

হাই পারফরম্যান্স দলের ম্যানেজার জুনায়েদ চৌধুরীর দাবি অবশ্য ভিন্ন। তিনি বলেছেন, তাঁরা ২৪-২৫ দিন মূল মাঠে অনুশীলন করেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এইচপির একাধিক ক্রিকেটার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে তাঁরা বেশির ভাগ দিনই অনুশীলন করতে পারেননি। জাতীয় দলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে এটি তাঁদের জন্য বড় সুযোগ। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে অুশীলন করতে না পারায় তাঁদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।

প্রতিকূল আবহাওয়ায় চট্টগ্রামে এইচপি দলকে ঠিকমতো অনুশীলন করতে দেয়নি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা