৩ ম্যাচ, ১১ দিন—এরপরই কার্লো আনচেলত্তি পুরোপুরি হয়ে যাবেন ব্রাজিলের।

দুদিন দিন আগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে কোচ করার ঘোষণা দেয়। এরপরই শুরু নানা আলোচনা—পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দায়িত্ব নেওয়ার কী কারণ, রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি মেয়াদ এক বছর বাকি থাকার পরও কেনই–বা ব্রাজিলকে ‘হ্যাঁ’ বলা।

গতকাল মাদ্রিদে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়গুলো নিয়েই একাধিক উত্তর দিতে হয়েছে আনচেলত্তিকে। ব্রাজিলের হবু কোচ অবশ্য মন খুলেই কথা বলেছেন। জানিয়েছেন রিয়ালের হয়ে শেষ তিনটা ম্যাচ জয়ে রাঙাতে চান।

আরও পড়ুনযে তিন কারণে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেন আনচেলত্তি৮ ঘণ্টা আগে

লা লিগায় আজ রাতে মায়োর্কার বিপক্ষে খেলবে রিয়াল। এরপর ১৮ মে সেভিয়া আর ২৫ মে রিয়াল সোসিয়েদাদ ম্যাচ দিয়ে মাদ্রিদ অধ্যায়ের ইতি টানবেন আনচেলত্তি। তার আগে শেষটা সুন্দর হোক, সেটাই চাওয়া তাঁর, ‘শেষ ম্যাচগুলো সব সময় কঠিনই হয়। দলে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড় নেই। তারপরও চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করে তিনটা ম্যাচ জয়ের।’

২৬ মে থেকে আনচেলত্তি কাগজে–কলমে ব্রাজিলের কোচ। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘর সাজাতেই তো তাঁকে নেওয়া। কিন্তু এখনই দল গোছানোর কাজে মন দিতে চান না এই ইতালিয়ান কোচ, ‘২৬ মে থেকে আমি ব্রাজিলের কোচ। তখন তাদের জন্য অনুভূতিটাও কাজ করবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এখনো আমি রিয়াল মাদ্রিদের কোচ। এই দারুণ যাত্রাটা সুন্দরভাবে শেষ করতে চাই। আমি জানি, যেটা আমি করতে চাই, সেটা নিয়ে তারাও (ব্রাজিল) আগ্রহী হবে। আমি এসব নিয়ে সেদিন থেকে ভাবব, যেদিন এখান থেকে বিদায় নেব। কারণ, এই ক্লাব এবং ক্লাবের সমর্থকদের আমি সম্মান করি।’

রিয়ালও আনচেলত্তিকে রাজসিকভাবে বিদায় জানাতে প্রস্তুত। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতেও সেই আভাস মিলেছে। আনচেলত্তির চলে যাওয়ার খবরটা ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে রিয়াল।

রিয়াল মাদ্রিদের সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ছেড়ে যাচ্ছেন আনচেলত্তি। এই দৃশ্য আর বেশি দিন দেখা যাবে না.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ