দেশের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনের ফোর-জি সেবায় ৪৫ মি‌নিট বিঘ্ন ঘটেছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার পর থেকে গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী গ্রাহকেরা অনেকেই নিজেদের ফোনে ফোর-জি নেটওয়ার্ক পাচ্ছিলেন না। পরে সোয়া পাঁচটার দিকে ফোর-জি ব্যবহার করা যাচ্ছে বলে জানায় গ্রাহকেরা।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে আমাদের গ্রাহকরা কিছু সময়ের জন্য নেটওয়ার্ক সেবা পেতে দুর্ভোগে পড়েন। আমাদের কারিগরি দল ইতোমধ্যে দ্রুততার সঙ্গে সমস্যাটির সমাধান করেছে। সাময়িক এই বিঘ্নের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে মামলা, শিক্ষক কারাগারে

লক্ষ্মীপুরে আল-মঈন ইসলামী একাডেমিতে হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম হোসাইনকে (৮) হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, অধ্যক্ষ বশির আহমেদ ও ফয়সাল নামে তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পরে আটক মাহমুদকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার (১৪ মে) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মাদ্রাসা থেকে সানিমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এর আগে, দুপুরে সানিমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।

নিহত সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির মাতব্বরের ছেলে ও মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। সে ২০ পারা কোরআনে হাফেজ ছিল। ঘটনার রাতেই সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সদর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পাঁচজনের নামে মামলা করেন।

আরো পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সাম্য হত্যা: তথ্য চেয়ে অনুরোধ তদন্ত কমিটির 

সাম্য হত্যা: গ্রেপ্তার তামিমের বাড়িতে আগুন

পরিবারের অভিযোগ, তিন-চার দিন আগে পরিবারকে জানানো হয়, সানিম হুজুরের কথা শোনে না, এমনকি হুজুরের নামে বদনাম করে। এ নিয়ে হুজুর তার ওপর রেগেছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়, সানিম টয়লেটে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তবে, স্বজনেরা এসে তার মরদেহ টয়লেটে পায়নি। তার মরদেহ মাদ্রাসার নিচতলার একটি কক্ষে বিছানায় পাওয়া গেছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শিক্ষকদের দাবি, সানিম মাদ্রাসা ভবনের তিন তলায় টয়লেটে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে। পরে শিক্ষকরা তার মরদেহ সেখান থেকে নিচতলায় নামিয়ে একটি কক্ষের বিছানায় রাখেন। তবে, মাদ্রাসা কক্ষের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নামানোর ভিডিও দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে, সানিমকে গামছা নিয়ে টয়লেটে ঢুকতে দেখা গেলেও বাইর হওয়ার কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি।

সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের বিচার চাই।’’

ঘটনার পর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বশির আহমেদ বলেন, ‘‘ক্লাস শেষে সবাইকে নামাজ আর খাওয়ার বিরতি দেওয়া হয়। নামাজ পড়ে সবাই খাইতে যায়। কিন্তু, সানিম যাইনি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সে গামছা নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করে। সেখান থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’’

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘‘সানিমকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা মামলা করেছেন। ঘটনার পর আটক শিক্ষক মাহমুদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’’

ঢাকা/লিটন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ