৩৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পেল ৩ কোটি টাকা
Published: 15th, May 2025 GMT
দেশের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে থাকা ৩৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রায় তিন কোটি বরাদ্দ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আওতায় এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গবেষণাগার সরঞ্জামাদি কিনতে দেওয়া হয়েছে এ বরাদ্দ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের রাজস্ব বাজেট শাখা থেকে জারি করা এ–সংক্রান্ত আদেশে জানানো হয়, ‘গবেষণাগার সরঞ্জামাদি’ খাত থেকে ৩৪২টি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ২ কোটি ৯৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ কেবল গবেষণাগার সরঞ্জামাদি কেনার কাজে ব্যবহার করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য খাতে এই অর্থ ব্যয় করা যাবে না। আদেশে বরাদ্দ প্রদানের সঙ্গে আরও কয়েকটি শর্তও দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ঢাকা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাঙামাটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রংপুর, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ এবং নেত্রকোনা অঞ্চলের ১৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে বৃত্তি, টোয়েফলে ৯০ ও আইইএলটিএসে ৭ স্কোরে আবেদন৪ ঘণ্টা আগে‘বি’ ক্যাটাগরিতে মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, বান্দরবান, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, জামালপুর এবং শেরপুরের ১২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে মাদারীপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, মেহেরপুর, নড়াইল এবং ঝালকাঠি অঞ্চলের ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য এ বরাদ্দ ব্যবহারযোগ্য নয়।
আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত, বেতন কম, কারিগরিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা১৩ মে ২০২৫অর্থ উত্তোলন ও পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা/সার্বিক) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষরে জেলা বা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অর্থ উত্তোলন করবেন।
এ ছাড়া গবেষণাগার সরঞ্জামাদি কেনার পর তা প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং পরিদর্শনের সময় তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মনিটরিংয়ের দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ওপর। কোনো ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাকে দায়ী করা হবে। অব্যয়িত অর্থ আগামী এ বছরের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে ফেরত জমা দিতে হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে আইটি প্রশিক্ষণে করুন আবেদন, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ১৪ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।