২০২০ সালে কন্যা সন্তানের মা হন বলিউড অভিনেত্রী কালকি কোচলিন। তবে সি-সেকশন নয়, ‘ওয়াটার বার্থিং’ বা জলের মধ্যে সন্তান জন্ম দেন এই অভিনেত্রী। পশ্চিমা বিশ্বে এই পদ্ধতি খানিকটা পরিচিত হলেও ভারতীয় উপমহাদেশে তা নয়।

এই পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিয়ে কটাক্ষের শিকার যেমন হয়েছেন, তেমনি নানা ধরনের অপবাদও পেয়েছেন ‘দেব.

ডি’ তারকা। কালকির দাবি— এভাবে জলে সন্তান জন্ম দেওয়ার কৌশলটিকে অনেকে ‘অদ্ভুত’ বা ‘ডাইনি প্রথা’ বলেও মনে করেন। কয়েক দিন আগে ‘এলিনা ডাইসেক্টস’ নামে একটি পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দেন কালকি। এ আলাপচারিতায় এসব তথ্য জানান।

কালকি কোচলিন বলেন, “আমি মনে করি, এটি একটি আদর্শ অনুশীলন হওয়া উচিত। প্রাকৃতিক প্রসবের ক্ষেত্রে এটি অধিক সহজ। এটা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। শিশুর জন্যও এটি সহজ। শিশুটি যখন বেরিয়ে আসে, তখন অ্যামনিওটিক তরলে থাকে; ফলে বড় ধাক্কা প্রয়োজন হয় না। সাধারণভাবে এটি মসৃণ প্রক্রিয়া এবং একজন নারী দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরেন। আমি মনে করি, এটিই প্রোটোকল হওয়া উচিত।”

আরো পড়ুন:

আবার একসঙ্গে আমির-হিরানি

অসম প্রেমের গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢাললেন কঙ্কনা

বৈজ্ঞানিকভাবে যদি এই পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হয়, তবে মানুষ কেন এই কৌশল এড়িয়ে চলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে কালকি কোচলিন বলেন, “এই পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষ খুব কম জানেন। আমি জানি না, মানুষ কেন এটা নিয়ে ভাবেন না। তবে পদ্ধতিটা অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ। হয়তো এটাও একটা কারণ হতে পারে। অনেকেই বিষয়টিকে ডাইনি প্রথা বলেও মনে করেন; যেটা সমাজের জন্য ক্ষতিকারক।”

২০১১ সালে ভারতের বিতর্কিত পরিচালক-অভিনেতা অনুরাগ কাশ‌্যপকে বিয়ে করেন কালকি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাদের জীবনে ছন্দপতন ঘটে। দুই বছরের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

এরপর ইসরায়েলি পিয়ানো বাদক গাই হর্ষবর্গের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান কালকি। নানারকম লুকোচুরির পর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন এই অভিনেত্রী। এ জুটির কন্যা সাফো।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

গোপালগঞ্জে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৮ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর ওই মহাসড়কে বেশ কিছু সময় ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলে। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করে।  

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, খুলনার মংলা থেকে ছেড়ে আসা বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। পথে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি  ট্রাকের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালকসহ তিনজন নিহত ও অন্তত ২৮ জন আহত হয়। হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ