স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, ‘ইতিমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এ প্রক্রিয়ায় তিনি সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার আলম নিহত হওয়ার ঘটনায় রাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া অপর এক পোস্টে জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুনরাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ ৭ সিদ্ধান্ত২২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিতীয় দফায় ভাঙল নির্মাণাধীন ফুট বেইলি সেতু, ধাক্কায় ডুবল বাল্কহেডও

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফুট বেইলি সেতুটি দ্বিতীয় দফায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়া অংশটি নিয়ে বাল্কহেডটিও নদীতে ডুবে যায়।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে নড়িয়া উপজেলা সদরের বাজার সংলগ্ন কীর্তিনাশা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। তবে, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কীর্তিনাশা নদীর ওপর ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজের সুবিধার জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর থেকে নদী পারাপারের জন্য ট্রলারের ব্যবস্থা করা হয়।

আরো পড়ুন:

পদ্মা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা টোল আদায়

পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা টোল আদায়

পরে জনসাধারণের হাঁটা-চলার জন্য নদীর ওপর একটি ফুট বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। গত বছরের ২ অক্টোবর একটি বালুভর্তি নৌযান (বাল্কহেড হিসেবে পরিচিত) ফুট বেইলি সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুটির একটি অংশ ভেঙে পড়ে।

আবার নতুন করে একই ফুটওভার সেতুটিতে সোমবার সকালে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে সেতুটির একটি অংশ ভেঙে পড়ে যায়। পড়ে সেতুটির ভাঙা অংশসহ নৌযানটি কিছুদূর এগিয়ে পাড়ে ভিড়ানোর সময় ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যায়।

এ বিষয়ে রাশেদ মোল্লা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘অনেক বছর ধরে নদী পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হাঁটাচলার জন্য একটি ফুটওভার সেতু নির্মাণ হচ্ছিল, এখন সেটাও ভেঙে পড়ল।’’

নড়িয়া উপজেলার এলজিডির প্রকৌশলী মেহেদি হাসান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দ্রুত ফুট বেইলি সেতুটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া জড়িতদের বি‍রুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘আমি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মিটিংয়ে আছি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখব।’’

ঢাকা/আকাশ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ