১০০০ করে বন্দী বিনিময়ে রাজি রাশিয়া ও ইউক্রেন
Published: 17th, May 2025 GMT
তিন বছরের বেশি সময় পর সরাসরি আলোচনায় বসলেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে তাঁদের এই বৈঠক হয়। দুই ঘণ্টার কম সময়ের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। তবে উভয় দেশ ১ হাজার করে যু্দ্ধবন্দী বিনিময়ে একমত হয়েছে।
ইস্তাম্বুলের দোলমাবাচে প্রাসাদে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রুস্তেম উমেরভ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা বন্ধই ছিল এই বৈঠকের লক্ষ্য।
বৈঠক শেষে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানেরা জানিয়েছেন, আলোচনায় হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, এক হাজার জন করে বন্দী বিনিময় করা হবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময় হবে। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের বিষয়েও আলাপ করেছে দুই পক্ষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইউক্রেনের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধের জন্য মস্কো যেসব শর্ত দিয়েছে, তার একটি হলো নিজেদের কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে ইউক্রেনকে। রাশিয়ার এই দাবি ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’। আর বৈঠকের পর ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেছেন, ইস্তাম্বুল বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মস্কো সন্তুষ্ট। কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তৎপর রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এরই মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শুক্রবারের বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে পরে তা হয়নি। অবশ্য ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর সরাসরি সাক্ষাৎ ছাড়া যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি হবে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র
এছাড়াও পড়ুন:
১০০০ করে বন্দী বিনিময়ে রাজি রাশিয়া ও ইউক্রেন
তিন বছরের বেশি সময় পর সরাসরি আলোচনায় বসলেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে তাঁদের এই বৈঠক হয়। দুই ঘণ্টার কম সময়ের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। তবে উভয় দেশ ১ হাজার করে যু্দ্ধবন্দী বিনিময়ে একমত হয়েছে।
ইস্তাম্বুলের দোলমাবাচে প্রাসাদে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রুস্তেম উমেরভ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা বন্ধই ছিল এই বৈঠকের লক্ষ্য।
বৈঠক শেষে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানেরা জানিয়েছেন, আলোচনায় হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, এক হাজার জন করে বন্দী বিনিময় করা হবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময় হবে। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের বিষয়েও আলাপ করেছে দুই পক্ষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইউক্রেনের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধের জন্য মস্কো যেসব শর্ত দিয়েছে, তার একটি হলো নিজেদের কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে ইউক্রেনকে। রাশিয়ার এই দাবি ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’। আর বৈঠকের পর ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেছেন, ইস্তাম্বুল বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মস্কো সন্তুষ্ট। কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তৎপর রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এরই মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শুক্রবারের বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে পরে তা হয়নি। অবশ্য ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তাঁর সরাসরি সাক্ষাৎ ছাড়া যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি হবে না।