এক সময় টেলিভিশনের পর্দা খুললেই চোখে পড়ত তার মুখ। নাটক, টেলিছবি, বিজ্ঞাপন—সবখানেই ছিল নিয়মিত উপস্থিতি। বলছি, তানজিন তিশার কথা। এখন আর তাকে আগের মতো নিয়মিত দেখা যায় না। তবে যখনই পর্দায় আসেন দর্শকের জন্য ভিন্ন কিছু উপহার দেন। 

শুক্রবার এক পুরস্কার অনুষ্ঠানে দেখা মিলল তানজিন তিশার। পরিপাটি সাজ, আত্মবিশ্বাসী হাসি আর পরিণত চিন্তাধারায় যেন আরও পরিপক্ব একজন শিল্পী। সেখানেই তিনি জানালেন তার বর্তমান কাজের দর্শন- ‘‘বেশি কাজ নয়, মানসম্মত কাজ করতে চাই।’’

এই কথার ভেতরেই লুকিয়ে আছে অনেক অনুশীলন, অনেক অভিজ্ঞতা, অনেক ব্যথা আর ভালোবাসা। তিশার কথায়, “আমরা যারা অভিনয়শিল্পী, তারা বছরে অনেক কাজ করি। এর মধ্যে কোনো কাজ যদি আলাদা করে দর্শকের মনে দাগ কাটে, প্রশংসা পায় তবেই সার্থকতা। ‘ঘুমপরী’ ঠিক তেমনই একটি কাজ। এই ফিল্মটি করে আমি নিজের ভেতরেও নতুন কিছু আবিষ্কার করেছি।’’

‘ঘুমপরী’ নামের ওয়েব ফিল্মটি মুক্তি পায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রীতম হাসানের সঙ্গে রসায়ন, গল্পের নতুনত্ব— সব মিলিয়ে দর্শক প্রশংসা করেন কাজটির। তিশার কণ্ঠে এখনও এই কাজের রেশ। তিনি বলেন, “বলতে পারেন, আমি এখনো ‘ঘুমপরী’ থেকে পুরোপুরি বের হতে পারিনি।”

তবে এখন আর কাজের সংখ্যায় দৌড়ান না তিনি। গল্প ভালো না লাগলে ‘না’ করে দেন। আগে পরিকল্পনা করেন, ভেতর থেকে চরিত্রটিকে অনুভব করেন, তারপর যুক্ত হন। তিশা বলেন, “আমি চেষ্টা করি কম কাজ করতে, কিন্তু সেই কাজগুলো যেন দর্শকের মনে থাকে। ঈদের জন্য যেসব কাজ করেছি, সেগুলোর মান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আশাকরি দর্শকরাও তেমন কিছু পাবে।”

এই নতুন তিশা চিন্তাশীল, পরিণত, আত্মবিশ্বাসী। তিনি জানেন, প্রতিটি কাজই শিল্পীর জীবনের অংশ। তাই সেটি হতে হবে মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শুরু হয়েও হলো না আইপিএল, তবু বিদায় কলকাতার

বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ম্যাচ শুরুর আগেই। দু–একবার তা থেমেছে বটে, কিন্তু আবার শুরু হয়েছে খানিক পরই। অপেক্ষা বাড়তে বাড়তে একসময় কাটা শুরু হয় ওভার, শেষে আর ম্যাচটা মাঠেই গড়ায়নি! আইপিএলে মাঠের ক্রিকেটটা ফেরার অপেক্ষা তাই আরও বাড়ল। তবে এই বৃষ্টিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সব সম্ভাবনাই শেষ হয়ে গেছে। বল মাঠে না গড়ালেও এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে গেছে তারা।

ভারত–পাকিস্তান সংঘাত শুরুর পর এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। আজ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই তা ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচে টসই না হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে দুই দলকে। তাতেই বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে কলকাতার। ১৩ ম্যাচে ৫ জয়ে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ঘরের মাঠে খেলাটি ভেস্তে যাওয়ার পরও প্লে–অফের সম্ভাবনা ভালোভাবেই টিকে আছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ১২ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার ওপরে আছে তারা। কাল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে পাঞ্জাব কিংস অথবা গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে দিল্লি ক্যাপিটালস হেরে গেলেই প্লে–অফ খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।

আরও পড়ুনছক্কায় ছক্কায় তামিমকে ছুঁলেন পারভেজ১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ