চাকা খুলে যাওয়া উড়োজাহাজ নিরাপদে অবতরণের স্বীকৃতি পেলেন ক্যাপ্টেনসহ তিনজন
Published: 19th, May 2025 GMT
চাকা খুলে যাওয়ার পরও উড়োজাহাজ নিরাপদে অবতরণ করাতে পারার স্বীকৃতি হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সেই উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন, ফার্স্ট অফিসার ও কেবিন ক্রুকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এই স্মারক দেন।
সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ক্যাপ্টেন জে এস এম এম বিল্লাহ, ফার্স্ট অফিসার জায়েদ তাজিম ও কেবিন ক্রু মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
আজ সোমবার রাজধানীর কুর্মিটোলার বলাকা ভবনের সম্মেলনকক্ষে এ সম্মাননা প্রদান করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন এই মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।
গত শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৪৩৬ ফ্লাইট। বিমানটি উড্ডয়নের পর পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। তারপরও ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করে। উড়োজাহাজটি ছিল ড্যাশ ৮-৪০০ মডেলের একটি উড়োজাহাজ। এতে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিলেন।
আজ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকা খুলে যাওয়ার পরও দক্ষতার সঙ্গে উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করাতে পারার জন্য এ সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপদেষ্টা তাঁদের সাহসী প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য সবাই যেন সজাগ দৃষ্টি রাখেন, সেই আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র পদ
এছাড়াও পড়ুন:
সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ
সাগরে এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৭০ মণ ইলিশ মাছ। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এই ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ আড়তে এই মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে ওঠানো হয়। মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ টাকায়। ট্রলারটিতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ ইলিশ তুলে দেওয়া হয়।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সূত্রে জানাগেছে, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাইফ কোম্পানির এফবি সাফওয়ান-৩ মাছ ধরার ট্রলার গত ২৯ অক্টোবর সকালে পাথরঘাটা থেকে ১৯ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়।
ওই দিন বিকেলে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার পরই রাতে মাছগুলো ধরা পড়ে। ট্রলারটিতে জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ তুলে দেওয়া হয়। জেলেরা বলছে, সব মিলিয়ে ১৭০ থেকে ১৭৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে।
এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের মাঝি রুবেল হোসেন বলেন, “আমরা ২৯ অক্টোবর সাগরে যাই। বিকেলে লম্বা জাল (ইলিশ জাল) ফেলার পর রাত আটটার দিকে জালের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। রাত আটটা থেকে জাল টানা শুরু করে পরদিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জাল ট্রলারে উঠানো শেষ হয়।”
সাইফ ফিশিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম জানান, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছিল। ইলিশ মৌসুমে কাঙ্খিত মাছ ধরা না পড়ায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। সাগরে অবৈধ ট্রলিং বোট বন্ধ করা হলে জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, “মাছগুলো আমার আড়তে বিক্রি হয়েছে। ইলিশের প্রকারভেদ ২৭ হাজার, ২২ হাজার, ১২ হাজার টাকায় মণ দরে সব মিলিয়ে ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় এই মাছ বিক্রি হয়।”
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগরে গিয়েই মাছ পেয়েছে- এটা খুশির খবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। হঠাৎ এক ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ পাওয়ায় আমরাও খুশি।”
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “মা ইলিশ সংরক্ষণের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।”
তিনি বলেন, “জেলেরা সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানলে এবং অবৈধ জাল বন্ধ তাদের জেলেদের সুদিন ফিরবে।”
ঢাকা/ইমরান/এস