চাঁদপুরে রিকশা-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার দিবাগত রাত বারোটায় শহরের কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় (ডিসি অফিসের সামনে) এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী সমুদ্র মাল ও রিকশাচালক নিহত হন।

নিহত সমুদ্র মাল শহরের বাবুরহাট এলাকার মাল বাড়ির মনির মালের ছেলে। নিহত রিকশাচালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়াও আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক রাকিবসহ আরো একজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত বারোটায় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল শহর থেকে বাবুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি রিকশার সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ভয়াবহ এই সংঘর্ষে রিকশাটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

এসময় স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সমুদ্র মাল ও রিকশাচালককে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলায়েত হোসাইন জানান, দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নিয়ে আসা চারজনের মধ্যে দুজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত দ ই স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে কিশোর-তরুণদের আধিপত্যের দ্বন্দ্বে হামলা, ছুরি মেরে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে রাহুল আহমেদ খান (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ওই হামলায় আরও দুই তরুণ আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার খাসের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাহুলের বাবা উপজেলার স্থানীয় ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক সদস্য ও মেদুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের ছেলে। প্রায় দুই বছর আগে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও এতে অংশ নেননি রাহুল। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিরা হলেন রাসেল ও আসিফ। এই দুই তরুণও একই এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দল কিশোর-তরুণদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় ১০ দিন আগে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মেদুলিয়াসহ আশপাশের গ্রামের কয়েকজন কিশোর-তরুণের সঙ্গে রাহুল ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে খাসের চর গ্রামে দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাহুলের ওপর হামলা করেন ২০ থেকে ২৫ জন কিশোর-তরুণ। এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন রাহুল। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গী রাসেল ও আসিফ-ও এ হামলায় আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে রাহুলকে উদ্ধার স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। এ সময় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা।

খবর পেয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত রাহুলের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রাহুলের বাবা নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় নয়াপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম (১৮); কামুড়া গ্রামের নাজমুল হোসেন (১৯) ও তানভীর হোসেন (১৮) এবং খাসের চর গ্রামের রাজীব হোসেনসহ (১৯) আরও কয়েকজন কিশোর-তরুণ রাহুলের ওপর হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা জানিয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে রাহুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাঁর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত আছে। এ ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ