অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে নোবেলকে আদালতে হাজির করা হয়। ৩টা ৫ মিনিটে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হন। ৩টা সাত মিনিটে বিচারক এজলাসে এসে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।
এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মুরাদ হোসেন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানিতে নোবেলের আইনজীবী বলেন, ঘটনার সময় নোবেল ও মামলার বাদী স্বামী স্ত্রী ছিল। এবং মামলার বাদী নোবেলের স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করেন নোবেলের আইনজীবী। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালে নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে এক মামলায় সেবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজে সহযাত্রীর ওপর আক্রমণের অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রে একটি উড়োজাহাজের ভেতরে সহযাত্রীর ওপর আক্রমণের অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ জুন। ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি ফিলাডেলফিয়া থেকে মায়ামি যাচ্ছিল।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২১ বছর বয়সী ইশান শর্মা যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের নিউয়ার্ক শহরের বাসিন্দা। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজে কিয়ানু ইভানস নামে এক যাত্রীর সঙ্গে তিনি মারামারি করছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ইশান শর্মা ও ইভানস একে অপরের গলা চেপে ধরার চেষ্টা করছেন এবং আশপাশের যাত্রীরা তাঁদের দুজনকে থামানোর চেষ্টা করছেন।
ইভানস পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ‘বিনা উসকানিতে’ ইশান তাঁর ওপর আক্রমণ করেন। ইশান শর্মা নিজের নির্ধারিত আসনে ফিরে যাওয়ার সময় হঠাৎ তাঁর গলা চেপে ধরেন।
ইভানস আরও অভিযোগ করেন, ইশান তাঁর গলা চেপে ধরে অদ্ভুতভাবে হাসি দিচ্ছিলেন। ইভানস বলেন, ‘এ সময় ইশান আমাকে বলেছিলেন, “তুমি একজন দুর্বল, সাধারণ মানুষ। আমাকে চ্যালেঞ্জ করলে তোমার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।”’
উড়োজাহাজে ইশান শর্মার এক আসন সামনে বসা ছিলেন ইভানস। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর তিনি টয়লেটে যান এবং বিষয়টি কেবিন ক্রুদের জানান। তাঁরা তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, সমস্যা হলে যেন তিনি সহায়তা চেয়ে বোতাম চাপেন।
পরে ইভানস অভিযোগ করেন, শর্মা বারবার তাঁকে ‘মেরে ফেলার হুমকি’ দিতে থাকলে তিনি বোতাম চাপেন।
এরপরই পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়।
ইভানস বলেন, ‘বোতাম চাপার পর ইশান আমার দিকে খুব রাগান্বিতভাবে তাকাচ্ছিলেন। আমরা একে অপরের চোখে চোখ রাখছিলাম, মাথা একে অপরের দিকে ছিল। হঠাৎ তিনি আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। তখন আমার শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া কাজ করে, লড়াই বা পালানোর মতো। কিন্তু উড়োজাহাজের ভেতরে জায়গা খুব অল্প। তাই আমি শুধু নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করি।’
উড়োজাহাজ অবতরণ করলে পুলিশ ইশানকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অন্যের ওপর শারীরিকভাবে আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার আদালতে ইশান শর্মার আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল ধ্যান করার সময় ঘটনাটির শুরু হয়েছিল।
একটি সংবাদমাধ্যমে ওই আইনজীবী দাবি করেন, ‘আমার মক্কেল এমন একটি ধর্মের অনুসারী, যেখানে ধ্যান করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত, তাঁর পেছনে বসা যাত্রীটি সেটা পছন্দ করেননি।’