ঈদুল আজহার পর প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন
Published: 20th, May 2025 GMT
ঈদুল আজহার পর যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরে রাজা চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
নাম না প্রকাশের শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রাজার আমন্ত্রণে আগামী ৯ থেকে ১৩ জুন প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরের কথা রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। তবে বিস্তারিত সময় ও কর্মসূচি নিয়ে কাজ চলছে। সফরে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, রোহিঙ্গা সংকট এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের অন্যতম প্রধান গন্তব্য যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থকে নিজ দেশে স্থান দিয়ে আসছে। আসন্ন সফরে এ অর্থ ফেরত আনার উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। আর এ জন্য প্রধান উপদেষ্টার সফরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা থাকবেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অগ্রাধিকার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়া নিরাপত্তা সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা ক্রয়, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস), রোহিঙ্গা সংকট, অর্থনীতি ও অভিবাসন, জলবায়ু, গণতন্ত্র, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সাইবার নিরাপত্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুশাসন, সংস্কার, মানবাধিকার, শ্রম অধিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার কথা রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম