থিয়েটার ফ্যাক্টরির নতুন নাটক ‘কমলা রঙের বোধ’। বেইলী রোডের মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে জীবনানন্দ নাট্য উৎসবে গত ৯ মে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে। এর দ্বিতীয় কিস্তির আরও চারচি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল ২২ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ও ২৩ মে শুক্রবার বিকাল ৫ টা ও সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এবং ২৪ মে শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে।
এটি দলের ৫ম প্রযোজনা। কবি জীবনানন্দ দাশের জীবন ও সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে থিয়েটার ফ্যাক্টরির এ প্রযোজনাটির রচনা ও নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন অলোক বসু।জীবনের যন্ত্রণায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে পোড় খাওয়া এক দরিদ্র কবি জীবনানন্দ দাশ। তাঁকে কেন্দ্র করেই থিয়েটার ফ্যাক্টরির নতুন প্রযোজনাটি। নাটকটি প্রয়াত নাট্যজন আলী যাকেরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদন করছে দলটি।
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর জীবনানন্দ দাশ ট্রাম দুর্ঘটনায় পতিত হন। নাটকের আখ্যান শুরু সেখান থেকেই। ২২ অক্টোবর শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মারা যান কবি। নাটকটি আসলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কবি যে আট দিন হাসপাতালে ছিলেন তাঁর কাহিনি নিয়ে নাটকটি।
এতে অভিনয় করেছেন দীপু মাহমুদ, আরিফ আনোয়ার, কে এম হাসান, আশা আক্তার, মুনমুন খান, আকলিমা আক্তার, সুভাষ সরকার, বিপাশা সাইদ, সারাফ নাওয়ার শায়িরা, শান্তনূর ইহসান দিগন্ত, মৃণ্ময় চৌধুরী, হাসিব হক, রবিউল ইসলাম রাজিব, নওরীন পাঁপড়ী, শিশির বিন্দু, সূর্য সরকার প্রীতমসহ আরও অনেকে। আলোক পরিকল্পনায় রয়েছেন ঠান্ডু রায়হান, পোশাক পরিকল্পনায় মোহসিনা আক্তার, সংগীত পরিকল্পনায় রমিজ রাজু, মঞ্চ পরিকল্পনায় শাকিল সিদ্ধার্থ এবং কোরিওগ্রাফি করেছেন আমিনুল আশরাফ।
###
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক দলের মতের ভিত্তিতে জুলাই সনদের খসড়ায় সংশোধনী আনা হচ্ছে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের বৈঠকে একমত হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কমিশন ‘অনুঘটক’ হিসেবে ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য কমিশন আবার বসবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের শেষ দিনের আলোচনার শুরুতে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘সনদের দুটি অংশ। একটি অংশে ঐকমত্যের বিষয়সমূহ এবং অন্য অংশে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
শিগগিরই সনদ চূড়ান্ত করা যাবে বলে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।’
আজকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ সম্পর্কিত বিধান, সংসদের উচ্চকক্ষের গঠন, সংসদ সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি ও এখতিয়ার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, ইলেকটোরাল কলেজ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রস্তাব এবং রাষ্ট্রের মূলনীতি।
রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে আপনারা যে সব বিষয়ে একমত হয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়নের পথ আপনারা নিজেরাই তৈরি করতে পারবেন। সেখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুঘটকের কাজ করবে।’
আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার আজ শেষ দিন। আজ যেসব বিষয় আলোচিত হবে, তার অধিকাংশই সিদ্ধান্তের বিষয়। বিশেষ করে যেসব দায়িত্ব আপনাদের পক্ষ থেকে আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আপনাদের জানানো হবে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘কিছু অনালোচিত বিষয়ের আলোচনা হবে। আর সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহা হিসাবরক্ষক এবং ন্যায়পালসহ কিছু বিষয়ে আলোচনার ফ্লোর থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আগেই ছয়টি কমিশনের সুপারিশের সার-সংক্ষেপ রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় কিছু কিছু বিষয়ে একমত হওয়া গেছে। যার একটি তালিকা দলগুলোর হাতে আছে। এ ছাড়া যেসব বিষয়ে মতভেদ রয়েছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনমৌলিক সংস্কারের সব বিষয়ে মতৈক্য হয়নি ৬ ঘণ্টা আগেআলী রীয়াজ জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমতের সুযোগ ছিল এবং আছে। আজকের আলোচনায় যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে দলগুলো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিতে পারবে।
আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করেন, আজকের মধ্যে আলোচনা পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দল।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।
আরও পড়ুন১২ মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ২৯ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনপ্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ২৯ জুলাই ২০২৫