আন্দোলনে আহত ৩৫৭ জনের তালিকায় নাম নেই তামিমের
Published: 21st, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত কুমিল্লার ৩৫৭ জনের তালিকায় নাম নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র তামিম হোসেনের। ২০২৪ সালের ১২ জুলাই ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হন তিনি। এদিন কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলন চলাকালে হামলার ভিডিও করার সময় ছাত্রলীগের নেতারা তাঁকে ধরে নিয়ে হলে ২ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে। আহত তামিম দেবিদ্বার উপজেলার সাইতলা গ্রামের কৃষক আলী আসাদের ছেলে।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। গত বছরের ১২ জুলাই ভিক্টোরিয়া কলেজে আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলার ভিডিও ধারণ করছিলেন তামিম। এতে ছাত্রলীগ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর করে কলেজ ক্যাম্পাসের কাজী নজরুল হলে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ২ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
তামিমের সহপাঠী খলিলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ ও বেলাল হোসেন জানান, তামিমকে মারধরের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রশাসন যে তদন্ত কমিটি করেছে, সে কমিটি এখন পর্যন্ত তদন্তই শেষ করতে পারেনি। তামিমকে যারা মারধর করছে, তাদের কেউ বিদেশে চলে গেছে, অনেকে আত্মগোপনে। তারা আরও জানান, কুমিল্লায় গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটেগরির জুলাই যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক দেবে সরকার। এর একটি তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার ওই তালিকায় স্থান পাওয়া কুমিল্লার ৩৫৭ জনের মধ্যে নাম নেই তামিমের।
তামিম বলেন, ‘যখন আহতদের এমআইএস কার্যক্রম চলছিল, তখন কয়েকবার কলেজে যোগাযোগ করেছিলাম। কলেজ থেকে বলছিল নেট নেই। আরেক দিন বলে আজ আমাদের লোক পরীক্ষার ডিউটিতে। এভাবে নানা বাহানা করেছে। কলেজের আশায় থেকে কোথাও যোগাযোগ করা হয়নি। শেষে আমার নাম তালিকাভুক্তই হলো না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, চিকিৎসার প্রয়োজন এমন তালিকা করে আহতদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আহত তামিমের মেডিকেল সনদপত্র দিয়ে আবেদন করলে সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাশার ভূঁঞার ভাষ্য, তামিমের নাম তালিকায় না ওঠার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার বলেন, তামিমকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমআইএস সিস্টেমে আবেদন করতে হবে। তালিকা প্রকাশ হলেও যারা আবেদন করতে পারেনি, তাদের তথ্যপ্রমাণাদিসহ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হবিগঞ্জে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় ইজাজুল মিয়া (২২) ও ইমন মিয়া (২৬) নামে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২১ মে) দিবাগত রাত ১১টায় নবীগঞ্জ উপজেলার মজলিসপুর পাওয়ারপ্ল্যান্ট এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইজাজুল মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের ছামির উদ্দিনের ছেলে ও ইমন মিয়া একই উপজেলার পিটুয়া গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন- ‘‘মোটরসাইকেল আরোহী ইজাজুল ও ইমন ঢাকা যাচ্ছিলেন। মজলিসপুর পাওয়ারপ্ল্যান্ট এলাকায় পৌঁছে একটি ড্রাম ট্রাককে ওভারটেক করার সময় ট্রাকের পেছনের চাকায় চাপা পড়ে ইমন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ইজাজুলকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।’’
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১২টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ঢাকা/মামুন/টিপু