বিদেশি ভাষা শিখতে সহজে অর্থ পাঠানো যাবে
Published: 23rd, May 2025 GMT
বিদেশে ভাষা শিক্ষা কোর্সে অধ্যয়নের জন্য অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি ও পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে এখন আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না। ব্যাংকগুলো নিজেরা এই অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে। পাশাপাশি বিদেশি ভাষা শিখতে ব্যাচেলর ডিগ্রির শর্তও প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
আগে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে ভাষা শিখতে বিদেশে খরচ পাঠাতে পারতেন। এখন আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না। আগের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশে স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাচেলর, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, কিংবা ব্যাচেলর ডিগ্রির পূর্বশর্ত হিসেবে ভাষা শিক্ষা কোর্স এবং পেশাগত ডিপ্লোমা/সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তির জন্য বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করার জন্য ব্যাংকগুলো প্রাধিকার প্রাপ্ত ছিল। এখন থেকে শিক্ষার্থীরা ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি ফি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরণ করতে পারবেন।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভাষা শিক্ষা কোর্স বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য সহজ পন্থা হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে জাপানে ভাষা শিক্ষা কোর্স সার্টিফিকেট থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হয়। এই প্রক্রিয়ায় রিক্রুটিং এজেন্সির সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রয়োজন হয় না। এর ফলে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি জাপান দূতাবাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে, যেখানে জনশক্তি নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নতুন কর্মসূচি
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। আগামী শুক্র ও শনিবার (১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর) গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং রবি ও সোমবার (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা এম এ সালাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এম এ সালাম বলেছেন, “বাগেরহাটের চারটি আসন অক্ষুণ্ন রাখার দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে, তবে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
এর আগে আসন কমানোর প্রতিবাদে জেলা জুড়ে হরতাল, বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক