বিদেশে ভাষা শিক্ষা কোর্সে অধ্যয়নের জন্য অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি ও পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে এখন আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না। ব্যাংকগুলো নিজেরা এই অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে। পাশাপাশি বিদেশি ভাষা শিখতে ব্যাচেলর ডিগ্রির শর্তও প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

আগে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে ভাষা শিখতে বিদেশে খরচ পাঠাতে পারতেন। এখন আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না।  আগের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশে স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাচেলর, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, কিংবা ব্যাচেলর ডিগ্রির পূর্বশর্ত হিসেবে ভাষা শিক্ষা কোর্স এবং পেশাগত ডিপ্লোমা/সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তির জন্য বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করার জন্য ব্যাংকগুলো প্রাধিকার প্রাপ্ত ছিল। এখন থেকে শিক্ষার্থীরা ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি ফি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরণ করতে পারবেন।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভাষা শিক্ষা কোর্স বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য সহজ পন্থা হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে জাপানে ভাষা ‍শিক্ষা কোর্স সার্টিফিকেট থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হয়। এই প্রক্রিয়ায় রিক্রুটিং এজেন্সির সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রয়োজন হয় না। এর ফলে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি জাপান দূতাবাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে, যেখানে জনশক্তি নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূস থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে জনগণ: সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে চাইলে সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে। আমরা (বিএনপি) কখনও তার পদত্যাগ দাবি করিনি।

আজ শুক্রবার সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা না করে যদি তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান, সেটিও তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে একান্তই যদি তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র নিজ দায়িত্বে বিকল্প ব্যবস্থা নেবে। জনগণ বিকল্প বেছে নেবে।’

তিনি আরও বলেন, এই পৃথিবীতে কেউ অপরিহার্য নয়। তবে আমরা আশা করি, তিনি একজন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝবেন। আমরা চাই, জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। এ সময় নির্বাচন, করিডোর ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে স্বাগত জানান সালাহউদ্দিন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কয়েক দফায় ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়েও সময় পায়নি বিএনপি। নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য আর কয়েকদিন অপেক্ষা করে; তারপর সরকারকে সহযোগিতা নিয়ে প্রশ্নে করণীয় চূড়ান্ত করবে বিএনপি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ