আগামী ৩০ মে বাংলাদেশের বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বন্দরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একাংশের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ মে) বিকাল ৩টায় বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের বাস ভবনে নেতাকর্মীদের নিয়ে এ প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল এর সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর বিএনপির সদস্য ও উপজেলার সভাপতি এড.

বিল্লাল হোসেন, এড.আনিসুর রহমান মোল্লা, সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, রাশেদুল ইসলাম টিটু, আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের পুত্র ব্যারিস্টার রিজওয়ান রহমান লিটু।

এসময় প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আগামী ৩০ মে বাংলাদেশের বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হবে। সে উপলক্ষে আমরা সদর-বন্দরের বিভিন্ন থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে তিন দিন ব্যাপী দোয়া মাহফিল ও গরীবদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করবো। 
আগামী ৩০, ৩১ ও ১জুন পর্যন্ত বন্দরের স্পটে ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্পটে আমরা এ কর্মসূচি পালন করবো। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা অনেক জায়গায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন করতে পারি নাই। আওয়ামীলীগের দোসররা আমাদের দোয়া মাহফিল করতে দেয় নাই।  কিন্তু এ বছর আমাদের আর কোন বাঁধা নেই। 

এবার আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে দোয়া মাহফিল পালন করবো। কিন্তু এই দোয়া মাহফিলের জন্য কোন নেতাকর্মী যদি কোন প্রকার কাউর কাছে চাঁদাবাজি করেন, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। আপনারা যার যার এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবেন।

মহানগর বিএনপি নেতা রাজিব ও মাসুম এর সঞ্চালনায় প্রস্তুতিমূলক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাসিক ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, মহিবুল, সাগর, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির মেছবুদ্দিন স্বপন, আসলাম, ইয়া হান্নান, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির রোমেল, খুকু মনি, মোরছালীম, সুমন, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির আরিফ, মাসুদ, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির হান্নান, আনিস, আলী আকবর, নুর হাজী, শামসুদ্দিন মোল্লা টুটুল, সেরাজল, রতন খান, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির  মালেক মেম্বার, শফি, রাসেল, আসলাম, হানিফ, হাসান আলী, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নেছার উদ্দিন, মোশারফ, সাইদুল, আল হাসান, আনার হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির বুলবুল, কামাল, নাছির, মনোয়ার, ২৭নং ওয়ার্ড বিএএনপির কাউয়ূম, জাহের, মনির, ইলিয়াস, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.শহীদ মেম্বার, সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম, তীল মোহাম্মদ রতন, স্বপন মেম্বার, মনির মেম্বার, মাসুদ, জামান, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির আবুল মেম্বার, আলী নুর, নজরুল মোল্লা, জামান, শরীফ, লাল মিয়া, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির মোসলেউদ্দিন, জালাল মেম্বার, বিল্লাল মেম্বার, মোতালেব, ইব্রাহীম, দেলোয়ার, জাহাঙ্গীর, গোল মেম্বার, হারুন রশিদ, আলম মেম্বার, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির ইসলাম, আমির হামজা, মনির, নুর জামান, আমজাত মেম্বার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাবিল হোসেন, ইব্রাহীম মেম্বার, রুহুল আমিন, জাহিদ হোসেন, মাজেদা মেম্বার সহ বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ উপজ ল র স ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনসহ ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। 
 নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সহ ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে। এসব দলের জন্য আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণেও ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির জোট ছিল। ফলে ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেয় বিএনপি। ফলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাশেমী এই আসনে নির্বাচন করে। ২০২৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরমধ্যে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলমান। ধারনা করো হচ্ছে জোটের জন্য বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শূন্য রেখেছে। ফলে আলোচনায় রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী এবং এনসিপির এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এনসিপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার ইচ্ছাপোষন করলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন মনির হোসেন কাসেমী অথবা আবদুল্লাহ আল আলামিন। এমনটাই মনে করছেন বিএনপির একাধিক সূত্র।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
  • মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
  • দুবলারচরে পুণ্যার্থীদের যাত্রা শুরু
  • বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন
  • জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির 
  • মিথ্যা প্রচার দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে: মির্জা ফখরুল
  • বাংলাদেশের শত্রুতারা আবার মাথা মাথাচারা দিয়ে উঠতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
  • বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাইজিংবিডির রুমন চক্রবর্তী
  • ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
  • ইসমাইল হোসেন (মুরুব্বী) এর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া