বলিউডের গুণী অভিনেতা মুকুল দেব মারা গেছেন। শুক্রবার (২৩ মে) মৃত্যু হয় এ অভিনেতার। শনিবার (২৪ মে) অভিনেতার মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।

ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মুকুল দেব। ভর্তি ছিলেন আইসিইউ-তে। ‘সান অব সারদার’ সিনেমায় মুকুল দেবের সঙ্গে কাজ করা অভিনেতা বিন্দু দারা সিং মুকুলের মৃত্যুর খবরটি ইন্ডিয়া টুডে-কে নিশ্চিত করেছেন।

অভিনেতা বিন্দু দারা সিং বলেন, ‘‘মুকুলকে আর বড় পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যাবে না। এটা খুব কষ্টের। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই সিনেমা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন মুকুল। সে বাড়ি থেকে তেমন বের হতো না এমনকি কারও সঙ্গে দেখা করত না। শেষ কয়দিনে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। মুকুলের ভাই ও যারা তাকে ভালোবাসতেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা। মুকুল এক অসাধারণ মানুষ ছিলেন। আমরা সবাই তাকে ভীষণ মিস করব।’’

আরো পড়ুন:

পুঠিয়ায় খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের সাড়ে ৪ মাস পর আ.

লীগ নেতার মৃত্যু

চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ২ জনের

মুকুলের বন্ধু এবং অভিনেত্রী দীপশিখা নাগপাল ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেন, ‘‘মুকুল কখনোই নিজের অসুস্থতা নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতো না। আমাদের একটা বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। যেখানে ওর সঙ্গে প্রায়ই কথা বলতাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওর মৃত্যুর খবর পাই। তখন থেকেই ওর নম্বরে বারবার ফোন করছি, ভাবছি যদি ধরেই ফেলে।’’

উল্লেখ্য,  ১৯৯৬ সালে ‘দাস্তাক’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন মুকুল। মুকেশ ভাটের প্রযোজনায় সুস্মিতা সেন ও শ্রুতি কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। ক্যারিয়ারে ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’, ‘আর রাজকুমার’, ‘সান অফ সারদার’, ‘ডন’সহ অনেক হিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।  হিন্দি সিনেমা ছাড়াও তেলেগু, কন্নড় ও পাঞ্জাবি সিনেমাতে সরব ছিলেন মুকুল। এছাড়া টেলিভিশনেও তিনি ‘ঘরওয়ালি উপরওয়ালি’, ‘কাহানি ঘর ঘর কী’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।  তিনি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা রাহুল দেবের ভাই।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ