‘ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ৬ ব্যক্তি
Published: 24th, May 2025 GMT
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদসহ ছয়জন গুণী ব্যক্তি ‘ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছেন। ‘কর্পোরেট বিজনেস’ ক্যাটাগরিতে এ. কে. আজাদ এই পুরস্কার অর্জন করেন।
শনিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এসব গুণী ব্যক্তিদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রোটারি ক্লাব অব উত্তরা। বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্লাবটি প্রতি বছর এই পুরস্কার দিয়ে থাকে।
পুরস্কার প্রাপ্ত অন্যান্যরা হলেন- ‘মিউজিক’ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার লাভ করেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, ‘এডুকেশন’ ক্যাটাগরিতে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.
ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল। স্বাগত বক্তব্য দেন রোটারি ক্লাব অব উত্তরার সভাপতি এ এইচ এম হুমায়ুন কবির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল বলেন, যারা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে অবদান রেখে সমাজ সেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ, তাদের সম্মানিত করা অতি মহৎ উদ্যোগ। যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তাদের প্রায় সবাইকে আমি চিনি। এ. কে. আজাদ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফল। তিনি সমাজ সেবাতেও নিজেকে যুক্ত রাখেন। এ জন্য ওনাকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ সময় অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তদেরও তিনি অভিনন্দন জানান।
রোটারি ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষের একটা দ্বান্দ্বিক বিষয় আছে। তাকে ব্যক্তি স্বার্থ দেখার পাশাপাশি সমাজের বিষয়টা দেখতে হয়। এই দ্বান্দ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে এই ক্লাবের সদস্যরা সমাজের সেবা করে থাকেন। রোটারিয়ানরা তাদের সামর্থ্য ও উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে এ. কে. আজাদ বলেন, আমাকে সম্মাননা দেওয়ার জন্য রোটারি ক্লাব অব উত্তরার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। রোটারিয়ানরা নিজেদের ব্যক্তিগত সময় উৎসর্গ করে মানুষের জন্য কাজ করেন। এ কারণেই এই সম্মাননা গ্রহণে আমি রাজি হয়েছি।
তিনি বলেন, এক জাপানি ব্যক্তির কাছে আমি জানতে পেরেছি, এ দেশে অটিস্টিক শিশুদের পরিবারের কাছ থেকে কিনে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করায় একটি চক্র। এটা যে কতটা অমানবিক, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। এই ধরনের শিশুদের পুনর্বাসনে রোটারিয়ানরা উদ্যোগ নিলে আমি তাদের পাশে থাকব।
ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, প্রত্যেকটি পুরস্কার ও স্বীকৃতি একজন মানুষের জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এটা অনুভব করতে হয়। এর আগেও রোটারি ক্লাবের অনুষ্ঠানে এসেছি গান গাইতে। এবার নিজেই পুরস্কার পেলাম। এই স্বীকৃতি শুধু আমাকেই না, এ দেশের সংগীত জগতের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।
রানা চৌধুরী বলেন, আমার মতো একজন নগণ্য কলেজ শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়ায় রোটারি ক্লাব অব উত্তরাকে ধন্যবাদ জানাই। ছোট এই জীবনে সারাদেশে আমার অনেক শিক্ষার্থী আছে, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। বিভিন্ন জায়গায় গেলে যখন তাদের সঙ্গে দেখা হলে আমার ভালো লাগে।
মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সাংবাদিকতা পেশা সবসময়ই চ্যালেঞ্জের। এই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই সাংবাদিকদের কাজ করতে হয়। সব সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বললেও সেটা নিশ্চিত হয় না। আমাকে এই সম্মাননা দেওয়ার জন্য রোটারি ক্লাব অব উত্তরাকে ধন্যবাদ।
রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিটিভিতে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠান শুরু করি। বন্ধুরা এ নিয়ে বিদ্রুপ করতো। সেই মানুষকেই সম্মানিত করার জন্য রোটারি ক্লাব অব উত্তরাকে ধন্যবাদ। তবে কৃষকরা ভালো নেই। তাদের উন্নয়নে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। নইলে আমরা কেউই ভালো থাকবো না।
শাহনাজ খান বলেন, নব্বইয়ের দশকে অল্প পুঁজি নিয়ে কে ক্রাফটের যাত্রা শুরু করি। সারাদেশে এখন কে ক্রাফট একটা ব্র্যান্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে, জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লটারির আয়োজন করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এ ক আজ দ ই প রস ক র অন ষ ঠ ন র জন য ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত