ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার খাদলা সীমান্তের শ্যামনগর এলাকার ভারত অংশে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম (২৮) ও আজাদ হোসেন (২৬)।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত দেড়টার দিকে শ্যামপুর এলাকার কয়েকজন যুবক বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অংশে ঢুকে পড়ে। তবে তারা কেনো সীমান্ত পার হয়েছিল- তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। এ সময় সীমান্তে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বিজিবির ৬০ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কেনো তারা ভারত অংশে গিয়েছিল- সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় স ম ন ত হত য

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে আবারও ২১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও জামালপুরের বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বুধবার গভীর রাত ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়।

গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। সীমান্ত থেকে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে গত ৩ জুন গভীর রাতে ওই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ৩২ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছিল।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন হিজড়া ও ২ জন পুরুষ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি নড়াইল, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকা জেলায়।

নেত্রকোনা ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম কামরুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে বলেন, গতকাল রাত দুইটার দিকে বিএসএফ ২১ জনকে পুশইন করেছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা ৬ মাস থেকে ১২ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন। বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিএসএফ তাঁদের পুশইন করেছে। বর্তমানে তাঁদের বিজয়পুর ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বকশীগঞ্জের উপজেলার ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে আজ সকালে সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট, ফরিদপুর, খুলনা ও বরগুনা জেলায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে বকশীগঞ্জ-ভারতের সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে চারজন নারী ও তিনজন পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া বলেন, ‘বিএসএফ কিছু লোকজন আমাদের এলাকায় ঠেলে দেওয়ার খবর পাই। পরে আমরা ওই এলাকায় অবস্থান নিই। ওই সাতজন এলাকায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আটক করি। পরে পুলিশের কাছে তাঁদের সোপর্দ করেছি। ওই সাতজন কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।’

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ওই সাতজনকে সীমান্ত দিয়ে পুশইন করার পরই স্থানীয় গ্রামবাসী আটক করেন। পরে গ্রামবাসী তাঁদের থানায় সোপর্দ করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পানিহাটা সীমান্ত দিয়ে আরও ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • শেরপুরে ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১০ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • তিন সীমান্ত দিয়ে ৩৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ফের ২১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
  • নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে আবারও ২১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • সীমান্ত হত্যা বন্ধে দাঁড়াতে হবে বিএসএফের বিরুদ্ধে: নাহিদ ইসলাম
  • কুষ্টিয়ায় ২ কোটি টাকার জাল উদ্ধার