কসবা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত
Published: 25th, May 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. রবিউল ইসলাম (২৮) ও মো. আজাদ হোসেন (২৬) নামে দুই বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা সীমান্তের শ্যামনগর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মো. রবিউল ইসলাম কসবার শ্যামপুর এলাকার শের আলীর ছেলে এবং মো.
একাধিক সূত্র জানায়, রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় ৬ ব্যক্তি ভারত সীমান্তের অন্তত দেড়শ গজের বেশি ভেতরে ঢুকে পড়ে। তখন বিএসএফ তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে তাদের মধ্যে দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, কসবার এই সীমান্ত দিয়ে ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে গরু ও মসলা আনতে বেপরোয়া চোরাকারবারিরা। এপথ দিয়ে আগরতলা থেকে চোরাই মোটরসাইকেলও আনা হয়। এছাড়াও আসে কসমেটিকস, পটকাসহ বিভিন্ন পণ্য।
বিজিবি-৬০ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান সীমান্তে দু’জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/পলাশ/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর সীমান্ত থেকে আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি
অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য সহায়তার আহ্বান বিজিবির
ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের মধ্যে আটজন নারী, দুইজন পুরুষ ও পাঁচজন শিশু। তারা সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। তাদের রাতে সাতক্ষীরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত পার হওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের কাছে আটক হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের মো. শাহীন সানা, তার স্ত্রী নিলুফা ও কন্যা শাহিনা সুলতানা, একই উপজেলার নওয়াবেকি গ্রামের মিস সুরাইয়া ইয়াসমিন, মোছা. রাবিয়া বেগম, বড়কুপট গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, লিপিকা খাতুন, নাজমা খাতুন, জিম তরফদার, বয়ারসিং গ্রামের মোছা. ফারহানা আক্তার ও তার ছেলে ফারহান ঢালী, উত্তর আটুলিয়া গ্রামের সেমিনা খাতুন, আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের রাবিয়া খাতুন ও রিয়াদ হাসান এবং সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুলমতি খাতুন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক বলেন, “ভারতের হাকিমপুর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার বিকাশ কুমার সাতক্ষীরার তলুইগাছা কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেমের নিকট পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশিদের হন্তান্তর করেন।”
তিনি আরো বলেন, “বিজিবি ফেরত আনা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সাতক্ষীরা থানায় হন্তান্তর করেছে। পরিচয় যাচাই শেষে তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ