ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. রবিউল ইসলাম (২৮) ও মো. আজাদ হোসেন (২৬) নামে দুই বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছে। 

শনিবার (২৪ মে) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা সীমান্তের শ্যামনগর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. রবিউল ইসলাম কসবার শ্যামপুর এলাকার শের আলীর ছেলে এবং মো.

আজাদ হোসেনও একই এলাকার বাসিন্দা। দুজনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন।

একাধিক সূত্র জানায়, রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় ৬ ব্যক্তি ভারত সীমান্তের অন্তত দেড়শ গজের বেশি ভেতরে ঢুকে পড়ে। তখন বিএসএফ তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে তাদের মধ্যে দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, কসবার এই সীমান্ত দিয়ে ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে গরু ও মসলা আনতে বেপরোয়া চোরাকারবারিরা। এপথ দিয়ে আগরতলা থেকে চোরাই মোটরসাইকেলও আনা হয়। এছাড়াও আসে কসমেটিকস, পটকাসহ বিভিন্ন পণ্য।

বিজিবি-৬০ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান সীমান্তে দু’জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/পলাশ/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে আবারও ২১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও জামালপুরের বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বুধবার গভীর রাত ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের ঠেলে পাঠানো হয়।

গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। সীমান্ত থেকে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে গত ৩ জুন গভীর রাতে ওই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ৩২ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছিল।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন হিজড়া ও ২ জন পুরুষ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি নড়াইল, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকা জেলায়।

নেত্রকোনা ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম কামরুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে বলেন, গতকাল রাত দুইটার দিকে বিএসএফ ২১ জনকে পুশইন করেছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁরা ৬ মাস থেকে ১২ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন। বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিএসএফ তাঁদের পুশইন করেছে। বর্তমানে তাঁদের বিজয়পুর ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বকশীগঞ্জের উপজেলার ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে আজ সকালে সাতজনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট, ফরিদপুর, খুলনা ও বরগুনা জেলায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে বকশীগঞ্জ-ভারতের সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে চারজন নারী ও তিনজন পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া বলেন, ‘বিএসএফ কিছু লোকজন আমাদের এলাকায় ঠেলে দেওয়ার খবর পাই। পরে আমরা ওই এলাকায় অবস্থান নিই। ওই সাতজন এলাকায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আটক করি। পরে পুলিশের কাছে তাঁদের সোপর্দ করেছি। ওই সাতজন কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।’

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ওই সাতজনকে সীমান্ত দিয়ে পুশইন করার পরই স্থানীয় গ্রামবাসী আটক করেন। পরে গ্রামবাসী তাঁদের থানায় সোপর্দ করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পানিহাটা সীমান্ত দিয়ে আরও ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • শেরপুরে ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১০ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • তিন সীমান্ত দিয়ে ৩৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ফের ২১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
  • নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে আবারও ২১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • সীমান্ত হত্যা বন্ধে দাঁড়াতে হবে বিএসএফের বিরুদ্ধে: নাহিদ ইসলাম
  • কুষ্টিয়ায় ২ কোটি টাকার জাল উদ্ধার