বানিয়াচংয়ে পুলিশের গাড়িসহ ৪ যানবাহনে ডাকাতি
Published: 25th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশের গাড়িসহ চারটি যানবাহন ডাকাতি হয়েছে। এসময় ডাকাতদল চালক ও যাত্রীদের মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৫ মে) রাত ১২টার দিকে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সড়কের আইঞ্জন এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটে।
ভুক্তভোগী পিকআপ ভ্যানের চালক সুজন মিয়া বলেন, “রাস্তায় কয়েকজনকে একটি বিদ্যুতের খুঁটি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। আমার গাড়ি ২০-৩০ ফুট দূরে থাকতেই তারা খুঁটিটি রাস্তায় ফেলে গতিরোধ করে। এরপর ১৭-১৮ জন দা ও ফিকল হাতে এসে আমাকে মারধর করে। তারা আমার সঙ্গে থাকা ৪ হাজার ৭০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”
আরো পড়ুন:
পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকুন: সদর দপ্তর
ফরিদপুরে থানা থেকে লুট হওয়া শটগান উদ্ধার
তিনি আরো বলেন, “এরপর আরো তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গেলে সেগুলো থামিয়ে একইভাবে ডাকাতি করা হয়। এর মধ্যে ছিল একটি পুলিশের গাড়ি। সেই গাড়িতে থাকা তিনজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়েছে।”
ডাকাতদের হামলার শিকার পুলিশ সদস্যরা হলেন- বানিয়াচং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন, কনস্টেবল আরিফ আহমেদ ও ইমরান হোসেন।
বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবাশ কুমার সিংহ জানান, রাত্রিকালীন দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যরা ডাকাতদের কবলে পড়েন। তাদের উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বানিয়াচং উপজেলার আইঞ্জন এলাকা দীর্ঘদিন ধরে ‘ডাকাতির জোন’ হিসেবে পরিচিত। গত দুই যুগে সেখানে শতাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১০ বছর আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার সাইফুল ইসলাম ওরফে ঝিলকি নিহত হওয়ার পর কিছুদিন ডাকাতি কমে গেলেও সাম্প্রতি আবারো তা বেড়ে গেছে।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’