চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের দোহাজারী সদর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস উল্টে গেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের অভিযোগ, চালক বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ল।

বিকেল চারটায় গিয়ে দেখা যায়, বাসটি দুমড়েমুচড়ে সড়কের এক পাশে পড়ে আছে। আহতদের মধ্যে অন্তত সাতজন গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

বাসের যাত্রী আবুল হাসান প্রথম আলোকে জানান, বাসটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। তিনিসহ বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে অন্তত ৮ জন নারী ও ৪টি শিশু। সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। এক নারী দুর্ঘটনার সময়ই জ্ঞান হারান। আহতদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে গেছেন স্থানীয় লোকজন।

বাসের আরেক যাত্রী মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এটি হানিফ পরিবহনের বাস। দুপুর ১২টায় কক্সবাজার থেকে এটি ছেড়ে আসে। চালক অত্যন্ত বেপরোয়াভাবে বাস চালাচ্ছিলেন। দোহাজারী সদর এলাকায় ঢোকার পর সড়কে তেমন যানবাহন ছিল না। চালক আরও দ্রুতগতিতে চালাতে থাকেন। একপর্যায়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি উল্টে যায়। সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে জোরে ধাক্কা লাগে। তাঁর সঙ্গে থাকা দুজনের হাতে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। তরিকুল জানান, দুর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে গেছেন।

ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল মো.

রাশেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাসটিতে অন্তত ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় জিয়াউল হক (৬৫) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০

খাগড়াছড়িতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট থেকে পাঁচজন পর্যটক নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে যাচ্ছিল। ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবাহী ট্রাক্টর অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জিয়াউল হককে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ বলেন, ‘‘ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/নূর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫