দুর্নীতির অভিযোগে ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, তার স্ত্রী নুরজাহান বেগমসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অপর ব্যক্তিরা হলেন- স্নিগ্ধা ওভারসিজ লিমিটডে-এর শেখ আব্দুল্লাহ ও এম.

আমিরুল ইসলাম, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, মেসার্স ইউনিক ইস্টার্ন (প্রা.) লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নুর আলী, অংশীদার নাছির উদ্দিন আহমেদ ও খোন্দকার শওকত হোসাইন, সাবেক কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম এবং বি এন এস ওভারসিজ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ইশতিয়াক আহমেদ সৈকত।

আরো পড়ুন:

সাবের হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

পাপিয়ার কারাদণ্ডের খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ

দুদকের পক্ষে সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারের জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্তে আনা অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশগমণে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

ঢাকা/এম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ

দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ