নরসিংদীতে অভিযান চালাতে গিয়ে হামলায় ডিবির ছয় সদস্য আহত
Published: 26th, May 2025 GMT
নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় অভিযান চালাতে গিয়ে হামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া অভিযানে ব্যবহৃত একটি হাইয়েস গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের চর কাশিমনগর উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ছয়জন হলেন জেলা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও শেখ জসিম উদ্দিন; সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাজিব হাসান এবং তিন কনস্টেবল শামসুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম ও হাসমত আলী। তাঁরা বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ সম্পর্কে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে উপপরিদর্শক আবদুস সালাম বেলাব থানায় মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন মো.
হামলায় আহত এসআই ও মামলার বাদী আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা ওই এলাকায় অভিযান চালাতে গিয়েছিলাম। সেখানকার একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ি আমরা। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ামাত্রই পারভেজ নামের একজন এসে জানতে চান, “আমরা কারা, এখানে কেন এসেছি?” পরিচয় দেওয়ামাত্রই “ডিবি পুলিশ এখানে কেন?” বলেই চিৎকার করে লোক জড়ো করে আসামিরা হামলা চালায়। মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লি ও থানা পুলিশের সহায়তায় আমরা আহত ছয়জন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিই।’
স্থানীয় লোকজন বলছেন, বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতই জুয়ার আসর বসে, মাদকের রমরমা ব্যবসাও চলে। এর পেছনে আছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। অভিযান চালানো পুলিশ সদস্যদের ওপর তাঁরাই হামলা চালিয়েছেন। এলাকার মানুষ ওই চক্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, পুলিশের ওপর হামলার এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক নেই। জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।
তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’
ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।
দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।