নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় অভিযান চালাতে গিয়ে হামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া অভিযানে ব্যবহৃত একটি হাইয়েস গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের চর কাশিমনগর উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত ছয়জন হলেন জেলা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও শেখ জসিম উদ্দিন; সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাজিব হাসান এবং তিন কনস্টেবল শামসুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম ও হাসমত আলী। তাঁরা বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ সম্পর্কে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে উপপরিদর্শক আবদুস সালাম বেলাব থানায় মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন মো.

পারভেজ (২৬), সিনতাজ মোহাম্মদ সালমান (৩২), মো. মজিবুর (৪০), আব্দুল জলিল (৪৫), মোবারক হোসেন (৪২), মো. শাহজাহান (৪০), ইকতিয়ার হোসেন (৩৮), সেন্টু মিয়া (৪২), মো. হাবিবুর (৩৮) ও ইব্রাহিম খলিল (৪৩)। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ি হিসেবে পরিচিত। তাঁদের বাড়ি ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায়।

হামলায় আহত এসআই ও মামলার বাদী আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা ওই এলাকায় অভিযান চালাতে গিয়েছিলাম। সেখানকার একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ি আমরা। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ামাত্রই পারভেজ নামের একজন এসে জানতে চান, “আমরা কারা, এখানে কেন এসেছি?” পরিচয় দেওয়ামাত্রই “ডিবি পুলিশ এখানে কেন?” বলেই চিৎকার করে লোক জড়ো করে আসামিরা হামলা চালায়। মসজিদ থেকে বের হওয়া মুসল্লি ও থানা পুলিশের সহায়তায় আমরা আহত ছয়জন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিই।’

স্থানীয় লোকজন বলছেন, বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতই জুয়ার আসর বসে, মাদকের রমরমা ব্যবসাও চলে। এর পেছনে আছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। অভিযান চালানো পুলিশ সদস্যদের ওপর তাঁরাই হামলা চালিয়েছেন। এলাকার মানুষ ওই চক্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, পুলিশের ওপর হামলার এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক নেই। জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ব্যাংক কর্মীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে বুধবার গভীর রাতে আসিফ উদ্দিন ওরফে সুমন (৪৬) নামের এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ভাটারা থানার পুলিশ। তিনি গুলশানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন। পুলিশ ধারণা করছে, ২ জুলাই থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে যেকোনো সময় তিনি মারা গেছেন।

ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, আসিফ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জে ব্লকের ১১ নম্বর রোডের একটি বাড়ির সপ্তমতলার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।  বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই বাসার খাটের ওপর থেকে তাঁর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। আসিফের স্ত্রী রোকসানা আক্তার দুবাইয়ে ছিলেন। তিনি বুধবার রাতে বাসায় ফিরে দরজা ভেতর থেকে লক করা পান।

ডাকাডাকি করেও তিনি আসিফের কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে ভাটারা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে তালা ভেঙে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায়।

নবজাতকের লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আহসানউল্লাহ হলের দেয়াল–সংলগ্ন ফুটপাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক নবজাতকের (পুত্র) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে চকবাজার থানার পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে পুলিশ বকশীবাজার থেকে পলাশী যাওয়ার পথে বুয়েটের আহসানউল্লাহ হলের দেয়াল–সংলগ্ন ফুটপাত থেকে পলিথিন ও কাপড়ে মোড়ানো একটি বাজারের ব্যাগ থেকে নবজাতকের (পুত্র) মৃতদেহ উদ্ধার করে।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। কে বা কারা নবজাতকটি ফেলে গেছে, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে ব্যাংক কর্মীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
  • ‘মাদক বিক্রেতা’র বাসা থেকে আনা ব্যাংক চেক নেই জব্দ তালিকায়, সহকারী পরিচালকের অফিস ‘সিলগালা’