Samakal:
2025-05-29@18:52:41 GMT

রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট

Published: 28th, May 2025 GMT

রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট

রাজধানীতে সকাল-সকাল কর্মস্থলমুখী মানুষদের নিত্যদিনের সঙ্গী যানজট। তবে আজকের যানজট ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশি। ট্রাফিক পুলিশ জানায়, দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজকের এ যানজট। 

বুধবার সকালে পল্টন ও শাহবাগ এলাকা থেকে ধীরে ধীরে এ যানজট শুরু হয়, যা দুপুর ১টার তীব্র আকার ধারণ করে। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির কারণে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল থমকে আছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টার দিকে প্রেসক্লাব মোড়, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা মোড়, বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল এবং মতিঝিলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। একসময় যানজটে অতিষ্ট হয়ে সাধারণ মানুষরা গাড়ি থেকে নেমে হেটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তির পর হঠাৎ করে শাহবাগ এলাকায় দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে তাদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে শাহবাগ মোড় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট।

শাহবাগ এলাকায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, জামায়াতের নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ায় মূল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ যানজট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পল্টন ও রমনা এলাকায়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো.

সরওয়ার আজ বেলা পৌনে একটার দিকে বলেন, রাজধানীতে আজ বিএনপির তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ আছে। সেখানে কয়েক লাখ লোক আসার কথা। এ জন্য গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা থেকে বাসে করে নেতা-কর্মীরা রাজধানীতে আসছেন। নগরীর আশপাশ থেকেও বাস ভর্তি করে লোকজন আসছেন। শুধু  মিরপুর ও উত্তরার কিছু অংশ বাদ দিয়ে পুরো নগরেই আজ যানজট। 

মো. সরওয়ার বলেন, আজ সকালে জামায়াতের নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তির পর শাহবাগে বিপুলসংখ্যক লোক জড়ো হন। তখন সেখানে যানজট শুরু হয়। এটাই যানজটের শুরু। এরপর তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে তা আরও বেড়েছে। দুই রাজনৈতিক সমাবেশের কারণেই এত যানজট আজ নগরে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কারওয়ান বাজার এলাকায় এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের যত দূর চোখ যায়, শুধু গাড়ি আর গাড়ি। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে হাটা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। 

যানজট নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মো. সরওয়ার বলেন, যানজট সামলাতে ডিএমপির উপ-কমিশনার থেকে শুরু করে পরিদর্শকদের সবাই মাঠে আছেন। যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ র ঘ য নজট সম ব শ শ হব গ এল ক য় য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট, দুই রাজনৈতিক সমাবেশকে কারণ বলছে ট্রাফিক পুলিশ

যেকোনো কর্মদিবসে রাজধানীতে সকালের দিকে যানজট বেশি থাকে। যানজট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্তই বেশি থাকে সাধারণত। তবে এমন সময়েও রাজধানীর বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেটমুখী সড়কে এমন যানজট থাকে না আজ বুধবার সকালে যেমন ছিল। বিজয় সরণি থেকে সামনে এগিয়ে একেবারে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত শুধু যানবাহনের সারি। গাড়ি একটুও সরছিল না। এটা সকাল ৯টার ঘটনা।

ফার্মগেট পুলিশ বক্সের কাছে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলছিলেন, এই জ্যাম শাহবাগ পর্যন্ত। সেখানে একটা সমাবেশ হচ্ছে, সে জন্য পুরো এলাকায় জ্যাম।

এরপর সারা শহরে যানজট ছড়িয়ে গেছে। বেলা একটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় যানজট তীব্র আকার নেয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার আজ বেলা পৌনে একটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীতে আজ ছাত্রদল ও যুবদলের তারুণ্যের সমাবেশ আছে। সেখানে কয়েক লাখ লোক আসার কথা। এ জন্য গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা থেকে বাসে নেতা-কর্মীরা রাজধানীতে আসছেন। নগরীর আশপাশ থেকেও বাসভর্তি লোকজন আসছেন। শুধু  মিরপুর ও উত্তরার কিছু অংশ বাদ দিয়ে পুরো নগরেই আজ যানজট।

মো. সরওয়ার বলেন, আজ সকালে জামায়াতের নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তির পর শাহবাগে বিপুলসংখ্যক লোক জড়ো হন। তখন সেখানে যানজট শুরু হয়, এটাই শুরু। এরপর ছাত্রদলের সমাবেশের পর এটা আরও বেড়েছে। দুই রাজনৈতিক সমাবেশের কারণেই এত যানজট আজ নগরে।

কারওয়ান বাজারের সামনে দিয়ে যাওয়া এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ে যতদূর চোখ যায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি। উঁচু একটি ভবন থেকে দেখা যায়, আটকে থাকা বাসগুলো থেকে অনেকেই পায়ে হাঁটা শুরু করেছেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, নগরে ঢোকার সব কটি স্থানে আজ অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। আর এটা সামলাতে ডিএমপির উপকমিশনার থেকে শুরু করে পরিদর্শকদের সবাই মাঠে আছেন। যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী নাদিম মাহমুদ আটকে আছেন মগবাজার এলাকায়। তিনি বলেন, ‘সকালে শাহবাগে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এখন মগবাজারে এসে দেখছি রিকশাও নড়ছে না, গাড়ি তো একেবারেই বন্ধ।’

ট্রাফিক সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা খুব একটা নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানী জুড়ে যানজট
  • রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট, দুই রাজনৈতিক সমাবেশকে কারণ বলছে ট্রাফিক পুলিশ