অস্ত্রের মুখে ট্রাকসহ ১৭ গরু নিয়ে গেল ডাকাতরা
Published: 28th, May 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীর মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাকসহ ১৭টি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল এ সময় ট্রাক চালকসহ তিনজনের হাত-পা ও মুখ বেঁধে অপহরণ করে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীর চারঘাটে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।
বুধবার ভোরে উপজেলার দাশুড়িয়া-নাটোর-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি শেখপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে দিনাজপুর থেকে আসা ট্রাকসহ ১৭টি গরু ঈশ্বরদীর মুলাডুলি আঞ্চলিক মহাসড়ক অতিক্রমকালে ডাকাতের কবলে পড়ে। এ সময় ডাকাতদলের সাত থেকে আটজন সদস্য আরেকটি ট্রাক দিয়ে প্রথমে গরু বোঝাই ট্রাকটি অবরোধ করে। তারপর অস্ত্রের মুখে ট্রাকচালক, ট্রাকের হেলপারসহ তিনজনের হাত-পা ও মুখ বেঁধে অপহরণ করে এবং গরুগুলো পাকশী লালনশাহ সেতু দিয়ে নিয়ে যায়।
ঈশ্বরদী থানার সাব-ইন্সপেক্টর শরিফুজ্জামান বলেন, রাতে ডাকাতির খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। ভোরে লালনশাহ সেতুর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ডাকাতদল সেতু পার হয়ে ভেড়ামারা অতিক্রম করেছে। এ সময় তাদের আরেকটি ট্রাক লালনশাহ সেতু পার না হয়ে অন্যদিকে চলে যায়। সম্ভবত ওই ট্রাকে চালকসহ জিম্মি তিনজন ছিলেন। ডাকাত দল ওই ট্রাকে রাজশাহীর চারঘাট সড়কের পাশে চালকসহ তিনজনকে ফেলে রেখে চলে যায়। সকালের দিকে চালকসহ তিনজন ঈশ্বরদী থানায় এসে বিস্তারিত জানান।
পুলিশ জানায়, গতকাল ভোরে মোবাইল ফোনে তারা জানতে পারেন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গরু ডাকাতির ট্রাকটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির বিষয়ে জোর তদন্ত চলছে। ডাকাত গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযানও শুরু হয়েছে। গরু উদ্ধারেরও চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।