চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি নিয়ন্ত্রণে দেওয়ার ‘রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী’ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার নগরের জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সেখান থেকে আজ বৃহস্পতিবার বন্দর ভবনের সামনে বৃহত্তর শ্রমিক সমাবেশের ডাক দেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিক নেতারা। এ ছাড়া বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর বিভিন্ন দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন টিইউসি-চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল- চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল-চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এএম নাজিম উদ্দিন। বক্তব্য দেন নুরুল আবসার ভূঁইয়া, এসকে খোদা তোতন, জাহেদ উদ্দিন শাহিন, কেএম শহিদুল্লাহ, মহিন উদ্দিন প্রমুখ।

সমাবেশে তপন দত্ত বলেন, এনসিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক এবং লাভজনক টার্মিনাল। গত বছর এই টার্মিনাল থেকে ৫০০ কোটি টাকার বেশি নিট মুনাফা হয়েছে। 

সক্ষমতা ব্যবহারের হারও বেড়েছে। সুতরাং উন্নত ব্যবস্থাপনার অজুহাতে যারা এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের নিয়ন্ত্রণে দিতে চান, তাদের উদ্দেশ্য ভালো হতে পারে না। 

এএম নাজিম উদ্দিন বলেন, এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেশি-বিদেশি কাউকে দেওয়া যাবে না। এটি বন্দর কর্তৃপক্ষের সরাসরি ব্যবস্থাপনায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে বিদেশি ইজারাদারদের ব্যর্থতা দেখেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবার বিদেশিদের হাতে টার্মিনাল তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। 

স্মারকলিপিতে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে এনসিটি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া অবিলম্বে বাতিল, এনসিটিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফিরিয়ে আনাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ