Samakal:
2025-09-18@03:26:07 GMT

মানসিক চাপ কমানোর কৌশল

Published: 29th, May 2025 GMT

মানসিক চাপ কমানোর কৌশল

কমবেশি সবাই কোনো না কোনো সময় মানসিক চাপে ভোগেন। এতে শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছু কৌশল জানা থাকলে মানসিক চাপ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দ্রুত মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে শান্ত করতে কিছু উপায় জেনে নিন। যেমন-

গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস 
মানসিক চাপ কমাতে সবচেয়ে কার্যকর এবং সহজ উপায় হল গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস। এই পদ্ধতি স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে এবং দ্রুত উত্তেজনা কমায়। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস আপনার হৃৎস্পন্দন কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা রাতে ঘুমানোর আগে এই কৌশল অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। 

মাংসপেশি শিথিলকরণ 
প্রোগ্রেসিভ মাংসপেশি শিথিলকরণ এমন এক পদ্ধতি যা শরীরের বিভিন্ন অংশের মাংসপেশি সংকুচিত করে এবং তারপর শিথিল করে। এতে মানসিক চাপ কমে। এর ফলে শারীরিক উত্তেজনা দূর হয়। পিএমআর শরীর এবং মনের মধ্যে সংযোগ উন্নত করে। এটি অনিদ্রা, মাইগ্রেনের মতো মানসিক চাপজনিত সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।

হালকা হাঁটা 
প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময় কাটানো বা হালকা হাঁটাচলা মনের অবস্থা উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমায়। শারীরিক কার্যকলাপ এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে, যা প্রাকৃতিকভাবে মন ভালো রাখে। হাঁটাচলা রক্ত ​​​​সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এর ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। যারা অফিসে বা বাড়িতে এক জায়গায় বসে টানা কাজ করে তারা কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। ঘরের মধ্যেই হাঁটাচলা করুন। 

সঙ্গীত শোনা 
মনের অবস্থা পরিবর্তন করতে নিয়মিত সঙ্গীত শুনতে পারেন। আপনার পছন্দের, শান্ত বা অনুপ্রেরণাদায়ক সঙ্গীত শোনা মানসিক চাপ কমাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীত হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ কমায়। 

মেডিটেশন
মনের অস্থিরতা কমাতে নিয়মিত মেডিটেশন করতে পারেন। এতে মানসিক চাপ কমে এবং মানসিক ভারসাম্য বাড়ে। প্রতিদিন কয়েক মিনিট মেডিটেশন করলে মানসিক অস্থিরতা এবং উদ্বেগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শুরুতে আপনার মন অস্থির হতে পারে, কিন্তু নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে, আপনি সহজেই মনোযোগ দিতে পারবেন।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ