বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। শুক্রবারের বোর্ড সভায় বিসিবি পরিচালকদের ভোটে এই দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

বিসিবি সভাপতি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বুলবুল জানান, তিনি একটা কুইক (দ্রুততার সহিত) টি-২০ ইনিংস খেলতে চান। যে ইনিংসটা সকলে মনে রাখবে।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বুলবুল মূলত বিসিবির আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে চলে যেতে চান তিনি। যে নির্বাচন আগামী অক্টোবরে হওয়ার কথা। এতো অল্প সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে কী উন্নয়ন করে যেতে চান এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘টেস্ট পাঁচ দিনের খেলা, ওয়ানডে হয় সাত ঘণ্টা। আমি একটা কুইক টি-২০ ইনিংস খেলতে চাই।’

তবে নতুন নির্বাচিত সভাপতি বুলবুল এও জানান, তিন মাসের নির্ধারিত সময় নিয়ে তিনি বিসিবির সভাপতি হননি, ‘আমি বিসিবির নির্বাচিত সভাপতি। কোন নির্দিষ্ট টাইমফ্রেম নিয়ে এখানে আসিনি।’ 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল ও বাম জোটের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত রেখেছে:ছাত্রশিবির

ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, সিট দখল, অপপ্রচার, ট্যাগিং, র‌্যাগিং ও হামলাসহ অপরাধমূলক সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও কক্সবাজার পলিটেকনিক, সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, কুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির উদাহরণ তৈরি করেছে। 
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছুদের জন্য স্থাপিত শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও রংপুরেও বাঁধা দিয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে নির্যাতন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারীবাদীরা ছাত্রদলের এ ধরনের গুরুতর অপরাধে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় দুই নারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার হুমকি দেয় ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রদল ও বাম জোটের ট্যাগিং ও দায় চাপানোর রাজনীতিও চলছে পুরনো কায়দায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’- লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল নেতা আহনাফ তাহমিদ অর্জন। লাশের রাজনীতির বৈধতার বয়ান উৎপাদনে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম আবরার ফাহাদের হত্যা জায়েজ ছিল বলে অভিমত দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ