ঢাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমে গতি এসেছে
Published: 30th, May 2025 GMT
টানা ভারী বৃষ্টিপাতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে সমন্বয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২৯ মে রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়।
এর মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এর পরামর্শে এ উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আরো পড়ুন:
ইশরাকের শপথের সিদ্ধান্ত ইসির ওপর ছেড়ে দিলেন আপিল বিভাগ
ঢাবিতে ভবঘুরে উচ্ছেদে সহযোগিতা করবে ডিএসসিসি ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ
শুক্রবার (৩০ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি এলাকা থেকে ১৯টি ও উত্তর সিটি এলাকা থেকে ৪২টি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অধিকাংশ অভিযোগের সমাধান ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি সার্বক্ষণিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নগরবাসী যে কেউ জলাবদ্ধতা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে নিচের হটলাইন নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন হটলাইন: ০১৭৩৩৯৮২৪৮৬, ০১৯৬৬৭২৫৯১১, +৮৮০৯৬০২-২২২৩৩৩।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হটলাইন: ০১৫৩৪৬৬৪৪৪০, ০১৯৪২৮৩১৪৪৯, ০১৭০৯৯০০৪৪৪।
এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগরীতেও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.
শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও জলাবদ্ধতা কবলিত বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তিনি তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমানসহ উভয় সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরইমধ্যে যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দূর করা হয়েছে:
উত্তর সিটি করপোরেশন: মিরপুর-১০, কালশি, ভাষানটেক, খিলক্ষেত, নাখালপাড়া, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া, শাহ আলী, বাউনিয়া, সাতারকুল, ভাটারা, উত্তরখান, উত্তরা (সেক্টর ১, ৬, ১২, ১৩), এয়ারপোর্ট এলাকা।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: ধানমন্ডি-২৭, গ্রিন রোড, শুক্রাবাদ, কাঁঠালবাগান, কলাবাগান, নিউ মার্কেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনগর, বেইলি রোড, মগবাজার, আরামবাগ, ফকিরাপুল, মতিঝিল, গুলিস্তান ও সচিবালয় এলাকা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
ঢাকা/এএএম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসস স ড এনস স স থ ন য় সরক র ব ভ গ ন রসন
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুতত সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও এর আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
প্রেস উইং জানায়, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন থেকে প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। এছাড়া, গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমতগুলো প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐক্যমত কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরী ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।
এসব ক্ষেত্রে ফ্যসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ( সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়। পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যেকোনো সুযোগ নাই সেটাও সবার বিবেচনায় রাখার জন্য বলা হয়।
সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা না পেলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঢাকা/ইভা