এক সীমানায় দেশি-বিদেশি ১১৭ জাতের আমের সমাহার
Published: 31st, May 2025 GMT
মিছরির মতো মিষ্টি বলে আমের নাম মিছরিকান্ত, এমনটা শোনেননি কেউ। তবে মিছরির মতো মিষ্টি না হলেও আমটি মিষ্টি ও সুস্বাদু। আবার বৃন্দাবন থেকে এসেছে বলে নাম হয়েছে বৃন্দাবনী, এমনটাও জানা নেই কারও। তবে দু-চার কেজি পাকা বৃন্দাবনী আম ঘরে থাকলে জানান দেবে, ঘরে আম আছে। মনমাতানো সুগন্ধে ভরে উঠবে ঘর। শুধু সুগন্ধেই নয়, স্বাদেও অতুলনীয় এই বৃন্দাবনী।
ঠিক গোলাপের মতো সুগন্ধ না হলেও সুগন্ধি ও সুস্বাদু একটি আমের নাম হচ্ছে গোলাপবাস ও অন্য একটির নাম হচ্ছে গোলাপখাস। আরও আছে কোহিতুর, গোরজিৎ, কুয়াপাহাড়ি, কালুয়া, ধলুয়া, দুধসর, দুধিয়া, কালীভোগসহ বাহারি সব নামের হরেক রকমের আম। আর এসব আমের একসঙ্গে দেখা মিলবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের বাগানে। সেখানে এক সীমানার মধ্যে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১১৭ জাতের আমগাছ আছে। গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাতি, ল্যাংড়া, ফজলি ও হালের আম্রপালির মতো বাণিজ্যিক ও প্রচলিত জাতগুলোর ভিড়ে এখনো টিকে আছে বিলুপ্তপ্রায় আমগাছগুলো।
হর্টিকালচার সেন্টারের ২০ বছরের পুরোনো কর্মচারী আবদুর রহিম। তিনি বাগানের প্রায় ৬০ জাতের আম চিনতে পারেন। তিনি বলেন, রানীপছন্দ, কিষানভোগ, দাড়ভাঙা, ভাদুরী, জাদুভোগ, আলমশাহি, গোলাপবাস, কোহিতুর, দুধসর, দুধিয়া, রাধাসুন্দরী, কুয়াপাহাড়ি, ধলুয়া, কালুয়া, সিন্ধু, সরিখাস, ভাসতারা, শাটিয়ার ক্যাড়া, চৈতী, সুবর্ণা, কাজলা, বান্দিগোড়, জোড়সা, গোরজিৎসহ কিছু সুস্বাদু জাতের আম আছে বাগানে। এর বাইরে আরও অনেক জাতের আম রয়েছে। গাছগুলোর অনেকটাই শত বছরের বেশি বয়সী। ডালপালা দুর্বল হতে শুরু করেছে। একসময় ঝড়-বাদলে পড়ে যাবে।
সূর্য ডিম জাতের আমের দেখা পাওয়া যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ত র আম ব ন দ বন র আম র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম