জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর। বর্তমানে জেমিনি চ্যাটবটের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-মেইল লেখার সুযোগ পাওয়া গেলেও এবার আকারে বড় ই-মেইলের সারসংক্ষেপও জানার সুযোগ মিলবে। নতুন এ সুবিধা চালুর জন্য এরই মধ্যে জিমেইল হালনাগাদ করেছে গুগল।

এক ঘোষণায় গুগল জানিয়েছে, নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে ই–মেইলের শুরুতেই একটি সামারি কার্ড দেখা যাবে। যাতে ই–মেইলের মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হবে। এ জন্য ব্যবহারকারীকে আলাদা করে কোনো বাটনে ক্লিক করতে হবে না। দীর্ঘ ই–মেইলের মূল বক্তব্য বোঝার সুবিধা দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবহারকারী ইচ্ছা করলে আগের মতো নিজে থেকেই সারসংক্ষেপ দেখার বিকল্প বেছে নিতে পারবেন।

২০২৩ সালে জেমিনিকে প্রথম যুক্ত করা হয় জিমেইলের সাইড প্যানেলে। তখন থেকেই এটি ব্যবহার করে খসড়া ই–মেইল লেখা, সাজেস্টেড রেসপন্স ও ই–মেইল থ্রেডের সারাংশ তৈরি করার মতো কাজ করা হতো। নতুন এ হালনাগাদের মাধ্যমে জেমিনির সাহায্য পুরো ই–মেইল না পড়েই গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জানা যাবে।

গুগলের তথ্যমতে, সারসংক্ষেপে প্রতিটি ই–মেইলের মূল বক্তব্য তুলে ধরা হবে। থ্রেডে নতুন কোনো উত্তর যোগ হলে সেই অনুযায়ী সারাংশটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হবে। সুবিধাটি প্রাথমিকভাবে শুধু ইংরেজি ভাষায় লেখা ই–মেইলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। জিমেইলের সেটিংসে গিয়ে ‘স্মার্ট ফিচারস’ বিভাগের মাধ্যমে সুবিধাটি চালু বা বন্ধ করতে হবে।

সূত্র: টেক ক্র্যান্চ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাজেটের আকার আরো ছোট হওয়া উচিত ছিল: আমির খসরু

প্রস্তাবিত বাজেট আগের সরকারেরই ধারাবাহিকতা। রাজস্ব আয়ের সঙ্গে বাজেটের আকারের সম্পৃক্ততা রেখে বাজেট করা উচিত ছিল, যা করা হয়নি। সেই সঙ্গে, বাজেটের আকার আরো ছোট হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর হোটেল সারিনায় বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা সীমিত, কারণ তাদের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে তাদের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদের ব্যবধান রয়েছে-এটা মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত-বিগত সরকার বাজেটের আকার বাড়াতে বাড়াতে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেটার সঙ্গে রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত-রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ের মধ্যে ব্যয় হয়ে যাবে। উন্নয়ন বাজেট দেশের ভেতর বা বাইরে থেকে ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে।সরকার দেশের বাইরে থেকে ঋণ নিলে এর বোঝা বাড়তে থাকে এবং বছরের পর বছর দেশের মানুষকে এই সুদ দিতে হয়।এই কারণেই কিন্তু দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভুগতে থাকে। আর দেশের ভেতরের থেকে নিলে আবার বেশি ক্ষতি। কারণ দেশের ব্যাংক থেকে লোন নিলে ইন্টারেস্ট বেড়ে যায়। আবার ব্যক্তি খাতে লোনও কমে যায়। এর ফলে দেশে বিনিয়োগ হয় না, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় না, মানুষের আয় বৃদ্ধি পায় না। প্রাইভেট সেক্টর লোন না পেয়ে অনেকে বিনিয়োগও করতে পারে না।”

আরো পড়ুন:

বিএনপির বাজেট প্রতিক্রিয়া বুধবার

সব মিলিয়ে আমরা জুলাই সনদ করব: প্রধান উপদেষ্টা

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, “আগের বাজেট যেভাবে চলে আসছে, সেখান থেকে সংখ্যার তারতম্য হয়েছে কিন্তু বাজেটের প্রিন্সিপাল একই রয়ে গেছে। এটাও গতানুগতিক বাজেট। বিগত সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার বের হতে পারেনি। রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত। তাহলে প্রাইভেট সেক্টরে টাকার সরবরাহ থাকবে, বিনিয়োগ থাকবে, ইন্টারেস্ট কমে আসতো, বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমে আসতো ও সুদের হারও কম পেমেন্ট করতে হতো। কিন্তু আমরা সেই জায়গা থেকে সরে আসতে পারিনি। আমি মনে করি, এই মৌলিক জায়গায় গলদ রয়ে গেছে।”

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের মতো। আমি মনে করি, বিদেশি ঋণ ও রাজস্ব আয়কে মাথা রাখলে এই বাজেটের আকার আরো ছোট হওয়া উচিত ছিল। গুণগত দিক থেকে এই বাজেটে কোনো পরিবর্তন হয়নি, শুধু সংখ্যায় সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। কাঠামো কিন্তু একই রয়েছে।”

ঢাকা/রায়হান/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ