শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল
Published: 1st, June 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন।
রোববার বেলা ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টারের দপ্তরে এ অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এস তামিম।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পলাতক আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৫ খুনের মামলায় ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়াসহ পাঁচটি হত্যা মামলায় আলোচিত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফা এর আদালত শুনানি শেষে এ পৃথক পৃথক আদেশ দেন। পুলিশ পাঁচটি খুনের মামলায় তামান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেছিল।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের চান্দগাও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, পাঁচটি খুনের মামলায় শারমিন আক্তার তামান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে দাখিল করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ১৮ জুলাই, ৩ আগস্ট ও ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীরা চবি ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়া, ফজলে রাব্বী, সায়মান মাহিন, তানভীর সিদ্দিকী ও শহিদুল ইসলাম শহীদকে গুলি করে ও এলোপাতাড়ি মারধর করে খুন করেন। এ ঘটনায় আসামি শারমিন আক্তার তামান্নার সম্পৃক্ততা তদন্তে পাওয়া যাচ্ছে। তাই তাকে এসব খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন। আদালত পুলিশের পৃথক পৃথক আবেদনের উপর শুনানি শেষে আসামি তামান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
গত ১১ মে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বারৈইপাড়া থেকে তামান্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে নগরের বাকলিয়া থানা পুলিশের জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর চেষ্টা করলে তামান্না হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার নথি পুলিশের কাছে জমা দেন। পরে তাকে বাকলিয়া থানা থেকে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় স্থানান্তর করা হয়। পরে তাকে ১২ মে ৩০ দিনের ডিটেনশন দিয়ে থানা থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এখন তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে গত ১৫ মার্চ ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পরদিন তার স্ত্রী তামান্নার প্রতিক্রিয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিওতে তিনি ‘কাড়ি কাড়ি’ টাকা খরচ করে কারাবন্দি সাজ্জাদকে জামিনে বের করে আনার কথা বলেন। পাশাপাশি তার বিরোধী পক্ষকে হুমকি দিয়ে বলেন ‘এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা।’ তামান্না তার ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি শেয়ার করলেও পরে তা সরিয়ে নেন। এরপর ৮ এপ্রিল হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা ছোট সাজ্জাদকে সঙ্গে নিয়ে রাউজান ও বায়েজিদ এলাকায় মাইকিং করে পুলিশ। তাকে রাস্তায় ঘুরিয়ে ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে’ হুঁশিয়ারি করে পুলিশের এ মাইকিংয়ের ঘটনায় চটেন তার স্ত্রী তামান্না। এ ঘটনার পরদিন নিজের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তামান্নার অভিযোগ, তার স্বামী সাজ্জাদকে রশি বেঁধে রাস্তায় ঘোরানো ‘অপমানজনক’ এবং তাতে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে’।