কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। কাপড়চোপড় ঠিকমতো শুকানো যাচ্ছে না। এতে কাপড়ে স্যাঁতসেঁতে ভাব থেকে যাচ্ছে এবং তা থেকে একধরনের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। 

বৃষ্টির দিনগুলোতে জামাকাপড় থেকে এ ধরনের দুর্গন্ধ দূর করতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারেন। যেমন-

১. জামাকাপড় ধোয়ার সময় উপযুক্ত পরিমাণে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা অ্যান্টিফাংগাল লিকুইড যোগ করতে পারেন।

২.

জামাকাপড়ে ধোয়ার পর যতটা সম্ভব ভালোভাবে নিংড়ে নেওয়া উচিত যাতে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়। সম্ভব হলে স্পিন ড্রাই ব্যবহার করুন। এরপর যত দ্রুত সম্ভব খোলা হাওয়া ও আলো বাতাসযুক্ত জায়গায় কাপড় শুকাতে দিন। রোদ না থাকলে ফ্যানের নিচে বা ইনডোর ড্রায়ার ব্যবহার করে কাপড় শুকানো যেতে পারে।

৩. জামাকাপড় শুকানোর পরেও যদি বোটকা গন্ধ থাকে, তবে তা ভিনেগার বা বেকিং সোডা দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এক কাপ সাদা ভিনেগার বা আধা কাপ বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে কাপড় ভিজিয়ে রেখে পরে ধুয়ে ফেললে গন্ধ কমে যাবে।

৪.জামাকাপড় স্টোর করার সময় শুকনো ও হাওয়াবন্ধ জায়গায় রাখতে হবে। কাপড়ের মধ্যে ন্যাপথলিন রাখতে পারেন। 

৫. জামাকাপড় যাতে একদম শুকিয়ে যায় সেটা খেয়াল করুন। স্যাঁতসেঁতে কাপড় কখনোই ভাঁজ করে রাখা উচিত নয়। নিয়মিত ও যত্ন নিয়ে জামাকাপড় পরিষ্কার ও সংরক্ষণ করলে জামাকাপড়ের দুর্গন্ধ চলে যাবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর ষ ক ল

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ