গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগর কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম সাগর শনিবার (৩১ মে) রাতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

রবিবার (১ জুন) বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:

এফডিসিতে রামদা নিয়ে এক ব্যক্তির হামলা, ২৪টি গ্লাস ভাঙচুর

জাপা-গণঅধিকার পরিষদের হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ১৫

আরো পড়ুন: জাপা-গণঅধিকার পরিষদের হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ১৫
 
মামলায় নাম উল্লেখ করা উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, সাইদুল ইসলাম ট্যাপা, রুহুল আমিন, রত্মা আমিন, হাফিজ আহম্মেদ, ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মাসুতউদ্দীন চৌধুরি, একেএম সেলিম ওসমান, আশরাফুজ্জামান আশু, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৩০ জন। নাম না জানা আসামি ২৫০ জন।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, শনিবার (৩১ মে) জাতীয় পার্টির একটি বিক্ষোভ মিছিলে গন্ডগোল হয়। এ ঘটনায় মো.

শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম সাগর বলেন, “শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ হেল্প ডেস্ক খুলেছিল। বিকেলে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা নগরীর ফকিরবাড়ী রোডের মুখে চা পান করছিলেন। এ সময় জেলা ও মহানগর কার্যালয় থেকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলে প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়।” 

তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিনয়ের সঙ্গে সরকার বিরোধী স্লোগান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর হামলা করে।” 

গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, “ হামলায় বরিশাল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার ফয়সালসহ ১৫/২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ র ন ত কর ম ল ইসল ম বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জাপা-গণঅধিকার পরিষদের হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ১৫

বরিশালে জাতীয় পার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হামলা ও পাল্টা হামলা হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) বিকেলে নগরীর ফকিরবাড়ী রোড ও সদর রোডের সংযোগস্থলে এ হামলা করা হয়।

সংঘর্ষে জাতীয় পার্টি বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক হাসানসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

তাদের মধ্যে সাতজনকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক হামলাকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে নিসর্গ রিসোর্টে পেট্রোল বোমা হামলা

রংপুরে জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (৩১ মে) বিকেলে নগরীর ফকির বাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আমরা নগরীর ফকির বাড়ী কার্যালয় থেকে সদর রোডের কাছাকাছি পৌঁছালে পেছন থেকে কিছু সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তাৎক্ষণিক আমাদের নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের প্রতিহত করে এবং ধাওয়া দিয়ে একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘হামলাকারীরা কে এবং কোন দলের তা জানি না। তবে কাদের উসকানিতে এবং কারা হামলা করেছে, তা জানতে হবে।’’

গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমীন বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি নগরীতে মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও উগ্র স্লোগান দিচ্ছিলেন। যে কারণে আমরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়।’’

তিনি আরো জানান, তাদের হামলায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক হাসান, গণঅধিকার পরিষদের মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদ সোহাগ ফরাজী, যুব অধিকার পরিষদের মিরাজসহ ১০-১২ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে সাতজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, হামলার ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা একজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে পুলিশের কাছে দিয়েছে। তিনি বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েক জন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলেও জানান তিনি। 
 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ টি দল বাদে বাকি সবাই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চেয়েছে : নুরুল হক
  • জাপার ওপর এত রোষ কেন?
  • কুষ্টিয়ায় ‘পোড়া থানা’র কার্যক্রম উদ্বোধনে হট্টগোল
  • জাপা-গণঅধিকার পরিষদের হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ১৫