ঢাকার ধামরাইয়ে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এক বিশালদেহী ষাঁড় নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ষাঁড়টির নাম ‘সান্ডা’। সঙ্গে ফ্রি দেওয়া হচ্ছে একটি ছাগল, যার গায়ের রং একেবারে পান্ডার মতো। তাই নাম দেওয়া হয়েছে ‘পান্ডা’। এলাকা জুড়ে এখন আলোচনা—‘সান্ডার সঙ্গে পান্ডা ফ্রি’!

সাভার কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র নাঈম হোসেন নিজের খামারে গড়ে তুলেছেন সান্ডাকে। তিন বছর ধরে পরিবারের খামারে নিজের হাতে আদর-যত্নে লালন-পালন করছেন ষাঁড়টিকে।

নাঈম জানান, ষাঁড়টি ফ্রিজিয়ান জাতের। উচ্চতা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি, দৈর্ঘ্য ১০ ফুট। ওজন প্রায় ৩১ মণ। দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

আরো পড়ুন:

এক বছর পর ঘরে ফিরল ৯ ছাগল!

রাজারহাটে দেড় কোটি টাকার চামড়া বিক্রি

তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের গাভীর বাছুর ছিল। নিজের মতো করে গড়ে তুলেছি। গত বছর বিক্রি করিনি, এবার ভালো দাম আশা করছি।’’

বিশালদেহী গরুটি দেখতে প্রতিদিন আশপাশের গ্রামের লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ দরদামও করছেন। তবে, সন্তোষজনক দাম না পাওয়া পর্যন্ত বিক্রির কথা ভাবছেন না মালিক।

আকর্ষণের আরেকটি দিক হলো ‘পান্ডা’ নামের একটি ছাগল। এটি সান্ডার সঙ্গী। গায়ের রং পান্ডার মতো হওয়ায় এই নাম দেওয়া হয়েছে। ঈদে সান্ডা কিনলে সঙ্গে ফ্রি দেওয়া হবে পান্ডাকে।

ঢাকা/সাব্বির/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গর

এছাড়াও পড়ুন:

এই বাজেট ব্যবসা সম্প্রসারণে আস্থা বাড়াবে না: ফরেন চেম্বার

আগামী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসা সম্প্রসারণে আস্থা বৃদ্ধি করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি জাভেদ আখতার। তিনি বলেন, বাজেটে করজাল বৃদ্ধির নির্দেশনা নেই। সরকারে পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা প্রবৃদ্ধির বাজেট না। এই পরিবেশে কে বিনিয়োগ করতে আসবে বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আজ বুধবার ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) গুলশানের কার্যালয়ে বাজেট পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন জাভেদ আখতার। এ সময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় ও রূপালী হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

জাভেদ আখতার বলেন, ‘গত তিন বাজেটে আমাদের ওপর করের চাপ বাড়ছে। এবারও কর ব্যয় বাড়বে। বেশি কর দিতে হবে। এবার বেভারেজ, সিগারেট ও শিশুখাদ্যের দাম বাড়বে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে ব্যবধান বাড়াতে কর বাড়ানো হয়েছে আড়াই শতাংশ।

বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে জাভেদ আখতার বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমাদের চেয়ে পাকিস্তানের বিদেশি বিনিয়োগ বেশি। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে বিদেশি বিনিয়োগ কম। যদিও বিষয়টি বাজেটের ওপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ, নীতির ধারাবাহিকতা ও ব্যবসার সহজীকরণের ওপর। এ ছাড়া কাগজপত্র অনুমোদনের সহজীকরণের বিষয় আছে।

ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে শিল্পকে ঝাঁকুনি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রূপালী হক চৌধুরী। অথচ যেসব প্রতিষ্ঠান কর না দিয়ে চলছে, তাদের করজালে আনা এনবিআরের প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল।

নাসের এজাজ বিজয় বলেন, রাজস্ব প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ শতাংশ। এটা করতে গেলে প্রায় ৩৯ শতাংশ রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। কিন্তু সেটা কীভাবে হবে, তা বলা হয়নি। করহার বাড়ালে বেশি কর আদায় হয় না, বরং করহার কমলে রাজস্ব আদায় বাড়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ