সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চুরির অভিযোগে ইছা মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মারধরের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

গত রোববার উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ইছা মিয়া সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাধেরখলা হাজী এম এ জাহের উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে গত শনিবার দিবাগত রাতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। পরের দিন রোববার সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনেন গ্রামবাসী। এ সময় তাকে রহিমের দোকানের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলে তিনি চুরি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেন। এবং তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করেছে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও ইছা মিয়া ওই এলাকায় আরও একাধিক বাড়িতে ও মসজিদে চুরি করেছেন বলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পরে গ্রামবাসী তার স্বজনদের খবর দিলে তারা কোনো সাড়া দেননি। একপর্যায়ে গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট গ্রামের ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ গণ্যমান্যদের খবর দিলে তারা এসে মুচলেকা নিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

ভিডিওতে দেখা যায়, ইছা মিয়া খুঁটির সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ঘিরে থাকা মানুষদের হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বলছেন, ‘আমার ঘরও মালটি আছে। মালটি আইন্যা দেই। আমারে একুট পানি খাওয়াও। তোমরা যা কও, আমি তা–ই রাজি। আমারে তোমরা আর মাইরো না, অত্যাচারটা কইরো না.

..।’ তখন কেউ তাঁর কাছে চুরি যাওয়া মুঠোফোনের সিম চাইছিলেন। আবার কেউ মসজিদের চুরি যাওয়া জিনিসপত্র কোথায়, সেটি জিজ্ঞাসা করছিলেন।

পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের নুর আলম ফেসবুকে লেখেন, ‘ইছা মিয়া ভয়ঙ্কর একজন চোর। সে এমন কোনো মসজিদ নেই, সেখানে চুরি করছে না। সে আমার বাড়িতেও চুরি করছে। সে আমার বাড়ি থেকে টাকা ও অলঙ্কার চুরি করছে। তার ভয়ে সীমান্ত এলাকা লাকমা থেকে শুরু করে আমাদের ৮-১০ গ্রামের মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না।’ 

এ বিষয়ে দক্ষিণ বড়দল ইউপি সদস্য রোপন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ইছা মিয়া এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে এমন অভিযোগ পেয়েছি। গ্রামের রহিম মিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনায় ইছা মিয়াকে ধরে এনে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা। পরে তিনি স্বীকার করেন এবং কিছু মালামাল বের করে দেন। আমরা যাওয়ার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন তারা।’

তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই এলাকা থেকে কেউ চুরির বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেনি। তাছাড়া কাউকে চোর সন্দেহে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া বেআইনী। বিষয়টি কেউ থানায় অবগত করেনি। অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ য বল গ ন ত চ র র অভ য গ ম রধর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

চুরির অভিযোগে যুবলীগ নেতাকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চুরির অভিযোগে ইছা মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মারধরের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

গত রোববার উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ইছা মিয়া সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাধেরখলা হাজী এম এ জাহের উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে গত শনিবার দিবাগত রাতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। পরের দিন রোববার সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনেন গ্রামবাসী। এ সময় তাকে রহিমের দোকানের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলে তিনি চুরি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেন। এবং তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করেছে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও ইছা মিয়া ওই এলাকায় আরও একাধিক বাড়িতে ও মসজিদে চুরি করেছেন বলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পরে গ্রামবাসী তার স্বজনদের খবর দিলে তারা কোনো সাড়া দেননি। একপর্যায়ে গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট গ্রামের ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ গণ্যমান্যদের খবর দিলে তারা এসে মুচলেকা নিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

ভিডিওতে দেখা যায়, ইছা মিয়া খুঁটির সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ঘিরে থাকা মানুষদের হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বলছেন, ‘আমার ঘরও মালটি আছে। মালটি আইন্যা দেই। আমারে একুট পানি খাওয়াও। তোমরা যা কও, আমি তা–ই রাজি। আমারে তোমরা আর মাইরো না, অত্যাচারটা কইরো না...।’ তখন কেউ তাঁর কাছে চুরি যাওয়া মুঠোফোনের সিম চাইছিলেন। আবার কেউ মসজিদের চুরি যাওয়া জিনিসপত্র কোথায়, সেটি জিজ্ঞাসা করছিলেন।

পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের নুর আলম ফেসবুকে লেখেন, ‘ইছা মিয়া ভয়ঙ্কর একজন চোর। সে এমন কোনো মসজিদ নেই, সেখানে চুরি করছে না। সে আমার বাড়িতেও চুরি করছে। সে আমার বাড়ি থেকে টাকা ও অলঙ্কার চুরি করছে। তার ভয়ে সীমান্ত এলাকা লাকমা থেকে শুরু করে আমাদের ৮-১০ গ্রামের মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না।’ 

এ বিষয়ে দক্ষিণ বড়দল ইউপি সদস্য রোপন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ইছা মিয়া এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে এমন অভিযোগ পেয়েছি। গ্রামের রহিম মিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনায় ইছা মিয়াকে ধরে এনে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা। পরে তিনি স্বীকার করেন এবং কিছু মালামাল বের করে দেন। আমরা যাওয়ার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন তারা।’

তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই এলাকা থেকে কেউ চুরির বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেনি। তাছাড়া কাউকে চোর সন্দেহে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া বেআইনী। বিষয়টি কেউ থানায় অবগত করেনি। অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ