একটি ছবি আর ক্যাপশন ‘ব্রাদার্স’। এক ফ্রেমে শাকিব খান আর আফরান নিশো, কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, গতকাল মধ্যরাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চিত ছবিটি যেন ভক্তদের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। শাকিবের ‘তাণ্ডব’-এ নিশো থাকছেন কি না, সেই উত্তরও যেন লুকিয়ে আছে ছবিটির মধ্যেই।
এবারের ঈদের অন্যতম আলোচিত সিনেমা রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’। ছবির টিজার, পোস্টার, টাইটেল ট্র্যাক আসার পর থেকেই আলোচনার ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সবশেষ গত সোমবার রাতে এসেছে ছবির গান ‘লিচুর বাগানে’। মুক্তির মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গানটির ভিউ ৪ কোটি পূর্ণ হয়েছে। গানটিতে শাকিব ও সাবিলা নূরের রসায়নের প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। তবে ‘তাণ্ডব’-এ নিশো থাকছেন কি না, সেটা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তাও ছিল দর্শকের মধ্যে।

শাকিব ও নিশোর ভক্তদের মধ্যে ‘ভার্চুয়্যাল যুদ্ধ’ শুরু হয় গত ২৫ মে রাতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ‘তাণ্ডব’-এর অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে নিশোকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগুন জ্বলে উঠতে আর কী চাই! মাঠে নেমে পড়েন হাজারো ‘শাকিবিয়ান’, ফেসবুকে তৈরি হয় একেক পর এক ভিডিও ও পোস্টও। ছিল ‘নিশোইয়ান’ও। যৌক্তিক-অযৌক্তিক সমালোচনা ছাড়িয়ে সেটা চলে যায়, অকথ্য গালাগালি পর্যন্ত।

একসঙ্গে শাহরিয়ার শাকিল, শাকিব খান, আফরান নিশো, রেদওয়ান রনি ও জাবেদ সুলতান। শাহরিয়ার শাকিলের ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত

ছোটবেলার কুরবানির ঈদ খুব আনন্দের ছিলো। আমার বেড় ওঠা ঢাকায়। ইকবাল রোডে আমার বাবার বাড়ি। সাড়ে বারো কাঠা জায়গা নিয়ে ছিল আমাদের বাড়িটা। ঘরের সামনে বিরাট উঠান ছিলো। কুরবানির জন্য কেনা গরু ওই উঠানে রাখা হতো। শুধু আমাদের গরু না, মামা, খালাদের কেনা গরুও ওই একই উঠানে রাখা হতো। 

ঈদের আগের দিন বাবা, মামারা সবাই একসঙ্গে গরু কিনতে যেতেন। মামারা গরু কিনতে যাওয়ার আগে আমাদের বাড়িতে আসতেন। মা অনেক রকম খাবার রান্না করতেন। যেমন— খিচুরি, মুরগির মাংস, ডিম ভাজি। সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে গাবতলী হাটে গরু কিনতে যেতেন। বড়দের সঙ্গে আমিও যেতাম।  বিকালের আগে গরু কিনে বাসায় ফিরে আসতাম। রাতে আবার সবাই একসঙ্গে খেতো। এবং পরের দিনের গরু কুরবানির প্ল্যানিং হতো। অবশ্য বিকালের পরে নারীরা অর্থাৎ নানী, খালারা সবাই আসতেন গরু দেখতে। বাড়িটা উৎসবমুখর হয়ে উঠতো। সবমিলিয়ে আমাদের বাড়িতে ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত।

সেই সময় সবাই একসঙ্গে ঈদ করা হতো। বাড়ির উঠানেই গরু কুরবানি করা হতো। মাংস ভাগ করে বিলানো হতো। এরপর মামা, খালারা তাদের ভাগের মাংস নিয়ে বিকালে নিজেদের বাড়িতে চলে যেতেন। এই যে ঈদের আগের দিন গরু কেনা থেকে কুরবানি  এই সময়টুকুতে আত্মীয় স্বজনেরা সবাই মিলে একটি পরিবার হয়ে উঠতো। 

আরো পড়ুন:

চলতি মাসে মুক্তি পাবে আলোচিত পাঁচ সিনেমা

বিয়ে করলেন হিনা খান, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইটাও চলছে

সবার আলাদা বাসা এবং আলাদা ফ্ল্যাট বাড়ি হওয়ার পর থেকে আর এই সুযোগটুকু রইলো না। সময়ের পরিবর্তনে মানুষজন অনেকে হারিয়ে গেলো, অনেকে বিদেশে চলে গেলো। এভাবে করে ভাঙতে ভাঙতে এখন যার যার ঈদ তার তার।

এখন হয়তো আগের চেয়ে অনেক বড় গরু কুরবানি দেওয়া হয় কিন্তু আগের ঈদের আনন্দটা  এখন আর খুঁজে পাই না। 

অনুলিখন: স্বরলিপি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ