এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছেন অনন্ত জলিল ও আফিয়া নুসরাত বর্ষা। নিজেদের জীবনের নানা খুনসুটির মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এই তারকা জুটি। যেখানে অনন্ত জলিলকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন মডেল নাজমি জান্নাত।

বিষয়টি ভালোভাবে না নিয়ে অভিমান করে বেরিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী বলে সংবাদ প্রচার হয়। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অনন্ত জলিলের স্ত্রী বর্ষা। 

১ জুন অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্য এক তরুণী অনন্ত জলিলকে কেক খাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিমান করে সেখান থেকে চলে গেছেন বর্ষা। সেই ঘটনা নিয়ে আজ বুধবার নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে অনুষ্ঠানের একগুচ্ছ ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

যেখানে দেখা গেছে, অভিনেতা অনন্ত জলিল তার স্ত্রীর মুখ কেক তুলে দিচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের দাবিতে বেজায় ক্ষেপেছেন বর্ষা। আদতে সেই ঘটনাস্থলে এমন কিছুই হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। 

অভিনেত্রী বর্ষা লিখেছেন, ‘ভাগ্যিস অনন্ত জলিল তুমি কাউকে কিছু খেতে দেওনি। এডিটগুলো খুব প্রশংসা পাবার মত। এটা খুব সাধারণ ব্যাপার ছিল। কিন্তু এই এডিটিংয়ের যুগে নিজেরা নিজেদের মতো করে মজা নিলেন। আমিও খুব হেসেছি, সাথে আপনাদের ভাইও।’

প্রশ্ন তুলে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘মজার ব্যাপার হলো মেয়েটা কে ছিল? আমরা দুইজন কেউ চিনি না। উনি নিজে থেকেই এসে কেক খাওয়াবে অনন্ত ভাইকে। আর একটা কথা, উনি আমাদের দুইজনকে ফুল দিয়েছেন। ওনাকে কেউ বলেনি যে আপনি এগুলো করেন। নিজে নিজেই করেছেন। না জেনে কাউকে নিয়ে কিছু বলা খুব বড় ভুল এবং অপরাধ মনে রাখবেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর ষ অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ