না জেনে কাউকে নিয়ে কিছু বলা বড় অপরাধ: বর্ষা
Published: 4th, June 2025 GMT
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছেন অনন্ত জলিল ও আফিয়া নুসরাত বর্ষা। নিজেদের জীবনের নানা খুনসুটির মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এই তারকা জুটি। যেখানে অনন্ত জলিলকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন মডেল নাজমি জান্নাত।
বিষয়টি ভালোভাবে না নিয়ে অভিমান করে বেরিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী বলে সংবাদ প্রচার হয়। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অনন্ত জলিলের স্ত্রী বর্ষা।
১ জুন অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্য এক তরুণী অনন্ত জলিলকে কেক খাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিমান করে সেখান থেকে চলে গেছেন বর্ষা। সেই ঘটনা নিয়ে আজ বুধবার নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে অনুষ্ঠানের একগুচ্ছ ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
যেখানে দেখা গেছে, অভিনেতা অনন্ত জলিল তার স্ত্রীর মুখ কেক তুলে দিচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের দাবিতে বেজায় ক্ষেপেছেন বর্ষা। আদতে সেই ঘটনাস্থলে এমন কিছুই হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
অভিনেত্রী বর্ষা লিখেছেন, ‘ভাগ্যিস অনন্ত জলিল তুমি কাউকে কিছু খেতে দেওনি। এডিটগুলো খুব প্রশংসা পাবার মত। এটা খুব সাধারণ ব্যাপার ছিল। কিন্তু এই এডিটিংয়ের যুগে নিজেরা নিজেদের মতো করে মজা নিলেন। আমিও খুব হেসেছি, সাথে আপনাদের ভাইও।’
প্রশ্ন তুলে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘মজার ব্যাপার হলো মেয়েটা কে ছিল? আমরা দুইজন কেউ চিনি না। উনি নিজে থেকেই এসে কেক খাওয়াবে অনন্ত ভাইকে। আর একটা কথা, উনি আমাদের দুইজনকে ফুল দিয়েছেন। ওনাকে কেউ বলেনি যে আপনি এগুলো করেন। নিজে নিজেই করেছেন। না জেনে কাউকে নিয়ে কিছু বলা খুব বড় ভুল এবং অপরাধ মনে রাখবেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে অবৈধভাবে তোলা পাথর–বালু জব্দে বসেছে তল্লাশিচৌকি
সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো থেকে অবৈধভাবে দেদার বালু ও পাথর উত্তোলন চলছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে এসব দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন। এভাবে বালু ও পাথরের পাচার ঠেকানোর পাশাপাশি জব্দ করতে এবার তল্লাশিচৌকি (চেকপোস্ট) বসিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সাধারণত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা পাথর–বালু সিলেট বিভাগীয় শহর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। তাই সিলেট শহরে ঢোকার আগে পৃথক দুটি স্থানে গত ২৮ মে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। সেই থেকে এ দুটি চেকপোস্টে অবস্থান নিয়ে যানবাহন থামিয়ে অবৈধভাবে আনা পাথর–বালু জব্দ করা হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত টানা ১১ ঘণ্টা এ চেকপোস্ট পরিচালিত হয়।
মূলত সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের নির্দেশনায় প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে। ২৮ মে থেকে গত রোববার পর্যন্ত দুটি চেকপোস্টে অবস্থান নিয়ে রাতভর অভিযান পরিচালনা করে ৮৪টি অবৈধভাবে বালু ও পাথরবাহী ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ বালু ও পাথর জব্দ করা হয়েছে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ প্রথম আলোকে বলেন, সিলেট–তামাবিল আঞ্চলিক মহাসড়কের শাহপরান এলাকার নোয়াগাঁও রাস্তার মুখে ও সিলেট–ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তরকাছ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাছে পৃথক দুটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ দুটি এলাকাই সিলেট সদর উপজেলায় অবস্থিত। এসব চেকপোস্টে পরিচালিত অভিযানের নেতৃত্বে থাকেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। অভিযানকারী দল অবৈধ বালু ও পাথর পরিবহন বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বড় পাথর কোয়ারির অবস্থান সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলায়ও পাথর কোয়ারি রয়েছে। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপর জেলার সব কটি পাথর কোয়ারিতে রীতিমতো লুটপাট শুরু হয়। এসব কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে হাজারো মানুষ পাথর ও বালু উত্তোলন শুরু করেন। পরে সেসব পাথর–বালু দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী।
সিলেটে এরই মধ্যে প্রায় হাজার কোটি টাকার পাথর ও বালু লুট হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন মনে করছেন