জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতায় দেওয়া প্রস্তাবিত বাজেট জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলে মনে করছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি বলছে, নতুন বাজেট পুরনো বাজেটেরই ধারাবাহিকতা।

বুধবার সকালে রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেট পর্যালোচনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

তিনি বাজেটে কর প্রস্তাব এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করেন। রুবেল বলেন, কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাভিলাষীই বলতে হবে। কেননা দেশে বিনিয়োগ প্রবাহ নেই বলা যায়।

খাতওয়ারি বরাদ্দের বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গতানুগতিকতায় আটকে থাকছে সরকার। বাজেটে কাঁটছাটের প্রভাব শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ খাতের ওপর পড়েছে। যা একেবারেই কাম্য ছিল না। সচেতন মহল থেকে বেশ আগে থেকেই বলা হচ্ছিল যেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ কমানো না হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকার ওই আকাঙ্ক্ষা প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত করতে পারেনি।

সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বাজেট। এটি নিয়মতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে। তিনি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু এবং দীপক কুমার রায়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মানবিক করিডর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নিজস্ব বিষয়: গোয়েন লুইস

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলেছেন, রাখাইনে মানবিক করিডোর হবে কি না সেটা নির্ভর করবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সরকারের ওপর। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সরকার সম্মত হলেই এটা বাস্তবায়ন সম্ভব।

বুধবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন গোয়েন লুইস।

নির্বাচন এবং সংস্কার কোনটি গুরুত্বপূর্ণ—এ বিষয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, এর মধ্যে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। তবে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতি জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।


তিনি বলেন, “নির্বাচন নাকি সংস্কার সে প্রশ্নের আগে এখন আমরা সংস্কারের চেয়ে এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটার জন্য অপেক্ষা করছি।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে গোয়েন লুইস বলেন, “মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই পক্ষের সমর্থন দরকার। এ বিষয়ে দুপক্ষের সম্মতি থাকলে জাতিসংঘ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায় জাতিসংঘ তবে যতক্ষণ তা সম্ভব না হচ্ছে তার আগ পর্যন্ত তাদের সহায়তায় সরকারের সকল কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন ও সহায়তা করতে চায় জাতিসংঘ।”

লুইস জানান, জাতিসংঘ চায় রোহিঙ্গারা অধিকার নিয়ে নিজ বাসভূমিতে ফেরত যাক। মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ।

জাতিসংঘ নির্বাচন সংস্কার কমিশনকে সমর্থন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের দলগুলোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে জাতিসংঘ।”
গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশকে সকল দিক থেকে আরো মজবুত হতে হলে জাতীয়ভাবে কাজ করতে হবে এবং জনগণের সমর্থনের দরকার হবে বলে মনে করেন গোয়েন লুইস।

লুইস বলেন, “জাতীয় বাজেট নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে নানান মত থাকলেও এটা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থাকে লক্ষ‍্য রেখেই করা হয়েছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘ দ্বিমত প্রকাশ করছে না।” 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৌলতদিয়ায় ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়লেন নদীতে, লঞ্চ ভাঙচুর, চালককে মারধর
  • মহানবী (সা.)–এর যুগে কোরবানির ঈদ
  • বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি, ঈদের দিনেও সম্ভাবনা
  • গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়
  • বাজেটে আগের আমলের ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছে: গণ অধিকার পরিষদ
  • যুক্তরাষ্ট্রে নয়, কানাডায় যাচ্ছেন বিদায়ী পররাষ্ট্রসচিব
  • তুরস্কে বিরোধী সিএইচপি–দলীয় আরও পাঁচ মেয়র গ্রেপ্তার
  • মানবিক করিডর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নিজস্ব বিষয়: গোয়েন লুইস
  • জামিনে মুক্ত রিয়াদ চৌধুরী