গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। এতে বাসস্টপেজগুলোয় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার উভয় দিকে অন্তত ১২ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখী মানুষ।

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে রংপুরে যাচ্ছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আমির হোসেন। সকাল ৯টায় চন্দ্রা এলাকায় তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত আসতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু কোনাবাড়ী থেকে চন্দ্রা আসতে সময় লেগেছে আড়াই ঘণ্টা। এর মধ্যে কোথাও পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি।

কারখানাশ্রমিক হালিম মোল্লা বলেন, গাজীপুরের সফিপুর থেকে চন্দ্রা যেতেই সময় লাগছে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কোনো অবস্থাতেই যেন গাড়ি এগোচ্ছে না। যানবাহনের গতিও অনেক কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ পোশাক কারখানায় ছুটি হওয়ার পর বিকেলে যানবাহনের চাপ বাড়বে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে কাজ করছেন চার হাজার পুলিশ সদস্য। আছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার উভয় দিকে অন্তত ১২ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। আজ বৃহস্পতিবার নয়টার দিকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট, ঘরমুখো মানুষের ভিড়

একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে রাজধানী ছাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। ঢাকার বাইরে মহাসড়কে যানজট হওয়ায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফিরে আসা যানবাহনের সংখ্যা কম। তাই গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট দেখা গেছে।

বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অংসখ্য মানুষকে। বৈরি আবহাওয়ার কারণেও ভোগান্তি বেড়েছে।

গাবতলীতে সকাল থেকে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। শ্যামলী পরিবহন, এস আর পরিবহন, শাহ ফতেহ আলী পরিবহন, সুপার সনিসহ বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারে যাত্রীদের গাড়ির জন্য বসে থাকতে দেখা গেছে। টিকিট কেটেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দূর-দূরান্তের যাত্রীদের।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ২ ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ১০

বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঘরমুখো যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি। গত দুই দিনে বহু মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ বাড়ির উদ্দেশে গেছেন। তবে আজ শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেও যাত্রীর চাপ আছে।

শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের প্রচুর গাড়ি গেছে। আমাদের আধা ঘণ্টা, ১৫ মিনিট পরপর বাস যায়। যাত্রীর চাপ আছে কিন্তু সিডিউল রাখা যাচ্ছে, না কারণ বাস ফিরে আসছে কম।’’

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, সড়কে একাধিক দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করটিয়া থেকে সেতু পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (৬ জুন) ভোরেও মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটারে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

যানজট না থাকলেও ঢাকা-আরিচা সড়কেও গাড়ির চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা।

যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক আছে। গাবতীয় টার্মিনালের প্রবেশমুখে রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম। একইসঙ্গে গাবতলী সড়কের যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। টার্মিনালের মাইকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে অভিযোগের আহ্বান ও পরিবহন কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যানজটে নাভিশ্বাস উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের, ৮ ঘণ্টার গন্তব্যে লাগছে ১৯ ঘণ্টা
  • গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট, ঘরমুখো মানুষের ভিড়
  • ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক: ২৫ কিলোমিটার যানজট, যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ হাজার যানবাহন পারাপার
  • মহাসড়কে গাড়ির চাপ, যমুনা সেতু এলাকায় ২৫ কিলোমিটার যানজট
  • ঈদের ছুটির শুরুতে মহাসড়কে ধীরগতি
  • সাভারে যাত্রীর অপেক্ষায় দূরপাল্লার পরিবহন