প্রবাস থেকে ফিরে সফল খামারি বাবু মিয়া, পাহারা দেয় বিদেশি কুকুর
Published: 5th, June 2025 GMT
১৪ বছর বয়সে পাসপোর্ট হাতে মালয়েশিয়ার পথে পাড়ি দিয়েছিলেন বাবু মিয়া। তার আগে-পরে পড়াশোনায় খুব একটা মন ছিল না, তবু স্বপ্ন ছিল কিছু একটা করার। মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর, সেখান থেকে আবার মালয়েশিয়া-সাফল্য ধরা দেয়নি কোথাও। পরে দীর্ঘ ১০ বছর কাটে ইরাকে। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন, বিদেশ নয়, নিজের গ্রামেই কিছু করবেন।
বাড়ি ফিরে গাভি দিয়ে শুরু করেন খামার। সময়ের সঙ্গে সেটা পরিণত হয় বড় ষাঁড়ের খামারে। এখন সেই খামারে আছে দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের প্রায় ৩০টি ষাঁড়। আর পাহারায় আছে চার চারটি বিদেশি কুকুর।
বাবু মিয়ার (৩২) বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। খামারের নাম দিয়েছেন ‘তাসফিয়া ডেইরি ফার্ম’।
শুরুটা তিনটি গাভি দিয়ে
তিনটি গাভি দিয়ে খামার শুরু করেছিলেন বাবু মিয়া। বছর কয়েকের মধ্যেই সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০টির মতো গরুতে। তবে ২০২০ সালের দিকে শুরু হওয়া করোনা মহামারিতে গাভির দুধের দাম পড়ে যায়, বিপাকে পড়েন তিনি। লোকসানে পড়ে গাভিগুলো বিক্রি করে খামার কিছুদিন বন্ধও রাখেন। পরে আবার নতুন করে শুরু করেন। এবার গাভির বদলে মন দেন ষাঁড় পালনে। নিজেই খুঁজে খুঁজে সংগ্রহ করেন দেশি ও বিদেশি উন্নত জাতের বাছুর। ব্রাহামা, শাহিওয়াল, জার্সি—নানা জাতের ষাঁড়। এখন তাঁর খামারে আছে ৩০টির মতো বড় ষাঁড়, যেগুলোর ওজন ৫০০ থেকে ১ হাজার কেজি পর্যন্ত। এসব ষাঁড় প্রতিবছর কোরবানির মৌসুমে বিক্রি করেন। দামের শুরু ৫ লাখ থেকে, কিছু ষাঁড়ের দাম ১৫ লাখ টাকাও ছাড়ায়।
রাখালদের পাশাপাশি খামারটি দেখাশোনার জন্য বাবু মিয়া পালছেন চারটি বিদেশি কুকুর.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন।
দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত। তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা