১. ফিলিস্তিনের জন্য মহাবিপর্যয় (আল-নাকবা) হিসেবে বিবেচিত তারিখ কোনটি?
ক. ১৩ মে
খ. ১৫ মে
গ.১৭ মে
ঘ. ১৯ মে

২. স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশ নয় কোনটি?
ক. নরওয়ে
খ. সুইডেন
গ. ফিনল্যান্ড
ঘ. ডেনমার্ক

৩. লাওসের মুদ্রার নাম কী?
ক. ডং
খ. কিপ
গ. পেসো
ঘ. কোনোটিই নয়

৪. জাপানের গৃহীত নীতি কোনটি?
ক. চায়না প্লাস ওয়ান নীতি
খ. চায়না প্লাস টু নীতি
গ.

মাইনাস টু নীতি
ঘ. চায়না মাইনাস নীতি

৫. জর্ডানের পার্লামেন্টের নাম কী?
ক. মজলিস আশ-শুরাহ
খ. মজলিস আল-উম্মাহ
গ. মজলিস ওয়াতানি ইতিহাদ
ঘ. মজলিস শুরায়ে ইসলামি

৬. ট্রাগালফার স্কয়ারের সাথে সম্পর্কযুক্ত কে?
ক. নেপোলিয়ন
খ. অ্যাডমিরাল নেলসন
গ. ওয়েলেসলি
ঘ. অ্যাডমিরাল ফার্নান্দেস

৭. ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেন কে?
ক. বিল ক্লিনটন
খ. জিমি কার্টার
গ. হেনরি কিসিঞ্জার
ঘ. জন এফ কেনেডি

৮.অপারেশন সিঁদুর সামরিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে কোন তারিখে?
ক. ৫ মে
খ. ৬ মে
গ. ৭ মে
ঘ. ৮ মে

৯. নিচের কোন দেশ ইন্দোচীনের অন্তর্ভুক্ত নয়?
ক. লাওস
খ. ভিয়েতনাম
গ. ফিলিপাইন
ঘ. কম্বোডিয়া

১০. মায়া সভ্যতায় মায়ানরা মোট কয়টি ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল?
ক. ২টি
খ. ৩টি
গ. ৪টি
ঘ. ১টি

১১. কমপক্ষে কতটি সদস্য দেশের সম্মতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যেকোনোসিদ্ধান্ত নেওয়া যায়?
ক. ৯
খ. ১১
গ. ১৫
ঘ. ১০

১২. জাতিসংঘের মহাসচিবের মেয়াদ কত বছর?
ক. ২ বছর
খ. ৪ বছর
গ. ৫ বছর
ঘ. ৬ বছর

১৩. জি-৭ ভুক্ত দেশ নয় কোনটি?
ক. জার্মানি
খ. ফ্রান্স
গ. বেলজিয়াম
ঘ. কানাডা

১৪. কপ-৩০ অনুষ্ঠিত হবে কোন দেশে?
ক. আজারবাইজান
খ. ব্রাজিল
গ. সংযুক্ত আরব আমিরাত
ঘ. রাশিয়া

১৫. কিয়োটো প্রটোকলে Annex 1–এ কোন দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত?
ক. শিল্পপ্রধান ৪২টি দেশ
খ. উন্নয়নশীল ২৪টি দেশ
গ. পরিবেশ দূষণকারী ৩০টি দেশ
ঘ. বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী নয় এমন দেশ

১৬. ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনসংক্রান্ত ‘বাসেল কনভেনশন’ বাংলাদেশে অনুমোদিত হয় কত সালে?
ক.১৯৯৩
খ. ১৯৯২
গ. ১৯৯৪
ঘ. ১৯৯৫

১৭. সম্প্রতি আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলন (২০২৫) অনুষ্ঠিত হয় কবে?
ক. মিসরে
খ. ইরাকে
গ. ইরানে
ঘ. সংযুক্ত আরব আমিরাতে

১৮. বিশ্বের প্রথম গোয়েন্দা জাহাজ তৈরি করেছে কোন দেশ?
ক. ইরান
খ. রাশিয়া
গ. যুক্তরাষ্ট্র
ঘ. ইসরায়েল

১৯. ‘কনক্লেভ’ বলতে কী বোঝায়?
ক. পোপ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ভোটার
খ. পোপ নির্বাচন পরিচালক
গ. পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া
ঘ. পোপ নির্বাচনে যাঁরা অংশগ্রহণ করেন না, তাঁদের দল

২০. ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানীর নাম কী?
ক. পেহেলগাম
খ. বালাকোট
গ. মোজাফফারাবাদ
ঘ. পুলওয়ামা

মডেল টেস্ট ১০-এর উত্তর
১.খ। ২.গ। ৩.খ। ৪.ক। ৫.খ। ৬.খ। ৭.খ। ৮.গ। ৯.গ। ১০.ক।
১১.ক। ১২.গ। ১৩.গ। ১৪.খ। ১৫.ক। ১৬.ক। ১৭.খ। ১৮.ক। ১৯.গ। ২০.ক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মজল স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিদিন কেন মৃত্যুকে স্মরণ করতে হবে

মৃত্যু জীবনের একটি অবশ্যম্ভাবী সত্য, যা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য নির্ধারিত। ইসলামে মৃত্যুকে ভয়ের বিষয় হিসেবে নয়; বরং আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়ার একটি স্বাভাবিক ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮৫)

মৃত্যুর স্মরণ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক অনুশীলন, যা জীবনের উদ্দেশ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং আমাদের পার্থিব লোভ-লালসা থেকে দূরে রাখে।

মৃত্যু: মুমিনের জন্য স্বস্তি

পৃথিবী একটি পরীক্ষার ক্ষেত্র, যেখানে মানুষ নানা দুঃখ-কষ্ট, অভাব, প্রিয়জনের মৃত্যু, দারিদ্র্য ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। মুসলিমদের জন্য এ পরীক্ষা হলো আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলার মাধ্যমে জীবন যাপন করা।

কোরআনে বলা হয়েছে, ‘(আল্লাহ) যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করেন, তোমাদের মধ্যে কে উত্তম কাজ করে।’ (সুরা মুলক, আয়াত: ২)

আনন্দের ধ্বংসকারীকে (মৃত্যুকে) বেশি বেশি স্মরণ করো। তিরমিজি, হাদিস: ২৩০৭

মৃত্যু মুমিনের জন্য একটি স্বস্তি। এটি পার্থিব পরীক্ষা ও কষ্ট থেকে মুক্তি দেয় এবং আল্লাহর রহমতের আলিঙ্গনে নিয়ে যায়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন মৃত্যুর মাধ্যমে স্বস্তি পায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৫০৭)।

এমনকি নবীজি (সা.)-এর জীবনেও এ সত্য প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর সময় মৃত্যুর ফেরেশতা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁকে মৃত্যু বিলম্বিত করার সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনমৃত্যু থেকে পালানোর পথ নেই১৮ মার্চ ২০২৫মৃত্যুকে স্মরণ করার গুরুত্ব

মৃত্যু স্মরণ একটি গভীর আধ্যাত্মিক অনুশীলন। যখন আমরা কোনো প্রিয়জনের মৃত্যু দেখি, তখন পার্থিব বিষয়গুলো তুচ্ছ মনে হয়। আমরা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে পুনর্বিবেচনা করি।

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘হৃদয় মরিচার মতো মলিন হয়।’ লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ‘কীভাবে তা পরিষ্কার করা যায়?’ তিনি বললেন, ‘মৃত্যু স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে।’ (নাহজুল ফাসাহা)।

এ ছাড়া তিনি বলেছেন, ‘আনন্দের ধ্বংসকারীকে (মৃত্যুকে) বেশি বেশি স্মরণ করো।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৩০৭)

হজরত আলী (রা) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রায়ই মৃত্যুকে স্মরণ করে, সে অল্প সম্পদেও সন্তুষ্ট থাকে। সে কখনো লোভী বা কৃপণ হয় না।’ (বিহারুল আনওয়ার)

মৃত্যুর জন্য কী কামনা করা যায়

ইসলামে আত্মহত্যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই কোনো বিপদ বা কষ্টের কারণে মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করা অনুমোদিত নয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন বিপদের কারণে মৃত্যু কামনা না করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩৫১)।

তবে শহীদ হওয়ার জন্য দোয়া করা, অর্থাৎ আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণের জন্য প্রার্থনা করা ইসলামে অনুমোদিত।

ইসলামের দৃষ্টিকোণে মৃত্যু জীবনের সমাপ্তি নয়; বরং এটি পার্থিব জীবন থেকে চিরস্থায়ী জীবনের দিকে একটি সেতু। মৃত্যু মুমিনের জন্য এটি আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার একটি সুযোগ।মৃত্যুই শেষ কথা নয়

ইসলামের দৃষ্টিকোণে মৃত্যু জীবনের সমাপ্তি নয়; বরং এটি পার্থিব জীবন থেকে চিরস্থায়ী জীবনের দিকে একটি সেতু। এটি ভয় বা দুঃখের বিষয় হলেও মুমিনের জন্য এটি আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হওয়ার একটি সুযোগ। মৃত্যু স্মরণ ও এর জন্য প্রস্তুতি আমাদের জীবনকে আরও অর্থবহ করে।

বিপদে পড়লে মৃত্যু স্মরণের দোয়া আমাদের ধৈর্য ধরতে এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে সাহায্য করে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা বিপদে পড়ে বলে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন (আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই ফিরে যাব।)’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৬)

এ আয়াত মৃত্যুর সংবাদ শোনার সময়ও পাঠ করা হয়। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বিপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে এবং তিনি আমাদের সামর্থ্যের বাইরে পরীক্ষা দেন না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬)।

প্রতিটি বিপদের মধ্যে আমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এ বিপদ ক্ষণস্থায়ী। কারণ, আমরা আল্লাহর কাছে ফিরে যাব।

আরও পড়ুনসন্তান জন্মের আগে মৃত্যু কামনা করেন নবীর মা৩১ মে ২০২৫কয়েকটি দোয়া

মৃত্যু ভাবাপন্ন বিপদ হলে: কঠিন বিপদের সময় পাঠ করা যায়, তা হলো নবীজি (সা.)-এর শেখানো: ‘হে আল্লাহ, যতক্ষণ জীবন আমার জন্য কল্যাণকর, ততক্ষণ আমাকে জীবিত রাখো এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য উত্তম, তখন আমাকে মৃত্যু দাও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩৫১)

মৃত্যু নিকটবর্তী হলে: মৃত্যুর সময় শুধু আল্লাহই জানেন। তবে আমরা বা আমাদের প্রিয়জন মৃত্যুর কাছাকাছি থাকি এবং ভয় বা উদ্বেগ অনুভব করি, তবে এই দোয়া পাঠ করা যায়: ‘হে আল্লাহ, মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কষ্ট থেকে আমাকে সাহায্য করো।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৯৭৮)।

নবীজি (সা.) নিজেও তাঁর মৃত্যুর সময় এই দোয়া পাঠ করেছিলেন।

হে আল্লাহ, যতক্ষণ জীবন আমার জন্য কল্যাণকর, ততক্ষণ আমাকে জীবিত রাখো এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য উত্তম, তখন আমাকে মৃত্যু দাও।সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩৫১

সহজ মৃত্যুর জন্য দোয়া: নবীজি (সা.) একটি দীর্ঘ দোয়ার শেষে বলেছেন, ‘এবং আমার মৃত্যুকে আমার জন্য স্বস্তির উৎস করো, যা আমাকে সব অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৮৮)

এখানে সহজ মৃত্যু বলতে পার্থিব অর্থে আরামদায়ক মৃত্যু (যেমন ঘুমের মধ্যে মৃত্যু) বোঝায় না; বরং এটি বোঝায় মৃত্যুর ফেরেশতার আগমন থেকে শুরু করে পরকালে স্থানান্তর পর্যন্ত একটি সহজ প্রক্রিয়া।

মৃত্যুর কঠিন পরীক্ষা থেকে আশ্রয়: একটি দোয়ায় নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে অলসতা, বার্ধক্য, কাপুরুষতা, অক্ষমতা এবং জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।’ (সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ৫৪৯১)

মৃত্যুর সময় শয়তান থেকে বাঁচতে: নবীজি (সা.) এ–সময় দোয়া করেছেন, ‘আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি যেন শয়তান আমার মৃত্যুর সময় আমাকে ক্ষতি করতে না পারে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ১৫৫২)

ইসলামে মৃত্যুকে ভয়ের বিষয় হিসেবে নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। নিয়মিত মৃত্যু স্মরণ আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়, লোভ-লালসা থেকে দূরে রাখে এবং আমাদের ভালো কাজের পথে রাখে।

আরও পড়ুনমৃত্যু কি শেষ, মৃত্যু আসলে কী৩১ জুলাই ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ