৩৮ মণ ওজনের ‘সাদা পাহাড়’ প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি, খামারির আক্ষেপ
Published: 6th, June 2025 GMT
আগ্রহী ক্রেতা না পাওয়ায় প্রায় ৩৮ মণ ওজনের ‘সাদা পাহাড়’কে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন খামারি প্রশান্ত কুমার দাস। অবশেষে এক প্রবাসীর কাছে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ষাঁড়টি বিক্রি করেছেন। তাঁর দাবি, এতে খরচের অর্ধেক টাকাও পাননি। ষাঁড়টির পেছনে তাঁর ব্যয় হয়েছিল ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা।
আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রশান্ত। সাদা পাহাড় নামের গরুটি কোরবানির উদ্দেশ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কিনে নেন কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী আনোয়ার খান নামের এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুনকোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত রাজবাড়ীর ৩৮ মণ ওজনের ষাঁড় ‘সাদা পাহাড়’২৭ মে ২০২৫গরুটি বিক্রি হলেও আক্ষেপ করে প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, বড় ষাঁড় কেনার ক্রেতা না থাকায় তাঁর মতো খামারিদের মাথায় হাত পড়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ষাঁড় পালন করবেন না বলে মনস্থির করেছেন। গরুটি বিক্রি করে খরচের অর্ধেক টাকাও তিনি হাতে পেলেন না।
পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের রামকোল বাহাদুরপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ভাই ভাই ডেইরি খামার গড়ে তোলেন প্রশান্ত। খামারে ছোট-বড় ৩৪টি গরুর মধ্যে চারটি গাভি এবং বাকিগুলো ষাঁড়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের ষাঁড়টি ছিল ‘সাদা পাহাড়’। গরুটি নিয়ে গত ২৭ মে প্রথম আলোর অনলাইনে ‘কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত রাজবাড়ীর ৩৮ মণ ওজনের ষাঁড় “সাদা পাহাড়”’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এর আগে প্রশান্ত কুমার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাড়ির পেছনে তিনি খামারটি করেন। কুষ্টিয়ার বালিয়াপাড়া হাটে বিক্রি করতে আসা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় সাদা পাহাড়কে কেনেন। তিন বছরের মধ্যেই বিশাল দেহের অধিকারী হয় ষাঁড়টি।
রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘এত বড় ষাঁড় রাজবাড়ীতে আর নেই। খামারিকে স্থানীয়ভাবে ঈদের আগেই গরুটি বিক্রির পরামর্শ দিয়েছিলাম। এত বড় পশু রাখা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলমের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই) লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক রত্না সাহা এই আদেশ দেন। নড়াইল আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ), যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরো পড়ুন:
সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির-হুমকি: যুবককে ২ মাসের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন: ছবি তোলা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
এ সময় ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা গুলি ছুঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ১৩ শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো সাড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ নম্বর আসামি করা হয় আশরাফুল আলমকে।
ঢাকা/শরিফুল/রাজীব