আগ্রহী ক্রেতা না পাওয়ায় প্রায় ৩৮ মণ ওজনের ‘সাদা পাহাড়’কে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন খামারি প্রশান্ত কুমার দাস। অবশেষে এক প্রবাসীর কাছে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ষাঁড়টি বিক্রি করেছেন। তাঁর দাবি, এতে খরচের অর্ধেক টাকাও পাননি। ষাঁড়টির পেছনে তাঁর ব্যয় হয়েছিল ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা।

আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রশান্ত। সাদা পাহাড় নামের গরুটি কোরবানির উদ্দেশ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কিনে নেন কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী আনোয়ার খান নামের এক ব্যক্তি।

আরও পড়ুনকোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত রাজবাড়ীর ৩৮ মণ ওজনের ষাঁড় ‘সাদা পাহাড়’২৭ মে ২০২৫

গরুটি বিক্রি হলেও আক্ষেপ করে প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, বড় ষাঁড় কেনার ক্রেতা না থাকায় তাঁর মতো খামারিদের মাথায় হাত পড়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ষাঁড় পালন করবেন না বলে মনস্থির করেছেন। গরুটি বিক্রি করে খরচের অর্ধেক টাকাও তিনি হাতে পেলেন না।

পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের রামকোল বাহাদুরপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ভাই ভাই ডেইরি খামার গড়ে তোলেন প্রশান্ত। খামারে ছোট-বড় ৩৪টি গরুর মধ্যে চারটি গাভি এবং বাকিগুলো ষাঁড়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের ষাঁড়টি ছিল ‘সাদা পাহাড়’। গরুটি নিয়ে গত ২৭ মে প্রথম আলোর অনলাইনে ‘কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত রাজবাড়ীর ৩৮ মণ ওজনের ষাঁড় “সাদা পাহাড়”’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এর আগে প্রশান্ত কুমার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাড়ির পেছনে তিনি খামারটি করেন। কুষ্টিয়ার বালিয়াপাড়া হাটে বিক্রি করতে আসা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় সাদা পাহাড়কে কেনেন। তিন বছরের মধ্যেই বিশাল দেহের অধিকারী হয় ষাঁড়টি।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘এত বড় ষাঁড় রাজবাড়ীতে আর নেই। খামারিকে স্থানীয়ভাবে ঈদের আগেই গরুটি বিক্রির পরামর্শ দিয়েছিলাম। এত বড় পশু রাখা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সংশোধন

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ১৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। তবে এ বিষয়ে ২৮ আগস্ট জারি করা সুপ্রিম কোর্টের ৩৯৭-এ নম্বর বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধন আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরকার এক তথ্য বিবরণীতে বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধনের বিষয়টি জানায়। 

সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন যৌথভাবে ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন। তারা হাইকোর্টের মূল ভবনের ২৩ নম্বর কক্ষে নির্ধারিত তারিখে বেলা ১১টা ৪০ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করবেন।

এ সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইন সংশ্লিষ্ট মামলা, জরুরি ফৌজদারি মোশন, ফৌজদারি আপিল ও জামিন সংক্রান্ত আবেদনপত্র, জেল আপিল, রিভিশন এবং অন্যান্য ফৌজদারি বিবিধ মামলার শুনানি হবে। এছাড়া, বেঞ্চে স্থানান্তরিত বিষয়গুলোতেও শুনানি ও আদেশ দেওয়া হবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিএই

সম্পর্কিত নিবন্ধ